https://ift.tt/eA8V8J
ওয়াশিংটন, ২৬ আগস্ট- করোনাকালে কর্মীদের যাতে চাকরিচ্যুত হতে না হয় এ জন্য মহামারির প্রভাব শুরুর পরপরই সরকারিভাবে বিশাল পরিমাণ প্রণোদনা পেলেও মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স সরকারি অর্থ সহায়তার মেয়াদ না বাড়লে আগামী অক্টোবরের মধ্যে ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, এতে করে মার্চে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই বিমান সংস্থাটির যতজন কর্মী ছিলেন তাদের ৩০ শতাংশ চাকরি হারাবেন। শুধু আমেরিকান এয়ারলাইন্স নয় মহামারির কারণে বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেঁছে নিয়েছে। এতে খাতটির কর্মীরা পড়েছে সংকটে। অবশ্য ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও মার্চ থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন আমেরিকান এয়ারলাইন্সের প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কর্মী। এ ছাড়া অক্টোবরের মধ্যে কোম্পানিটির আরও ১১ হাজার কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়বেন। ফলে করোনাকালে আমেরিকান এয়ারলাইন্সে চাকরি হারানো কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪৩ হাজার। গত মাসে আরেক মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ৩৬ হাজার কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। জার্মানির লুফথানসাও ২২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে। বিবিসি জানাচ্ছে, করোনায় যাত্রী সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো চলতি বছর ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার লোকসানের মুখে পড়বে পড়বে সতর্কতা জারির মধ্যে এমন ঘোষণা আসছে একের পর এক। আরও পড়ুনঃ মোদির বাবার কি কোনও চায়ের দোকানই ছিল না? মহামারির কারণে ৩০ সেপ্টেম্বরের পূর্বে যাতে কোনো বিমান সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাই করতে না হয় এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র দেশটির এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৫৮০ কোটি পেয়েছে আমেরিকান এয়ারলাইন্স। তবুল কোম্পানিটি বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করছে। অবশ্য এয়ারলাইন্সগুলো সরকারি এই অর্থ সহায়তার মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে আসছে। উল্লিখিত এয়ারলাইন্সগুলো ছাড়াও বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা করোনার কারণ দেখিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে। আমেরিকান এয়ারলাইন্স এর প্রধান নির্বাহী ডগ পার্কার এবং প্রেসিডেন্ট রবার্ট ইসোম কর্মীদের দেওয়া এক বার্তায় লিখেছেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা যে সংকটের মধ্য দিয়ে কোম্পানি যাচ্ছে তাতে করে আগামীতে এ থেকে উত্তোরণের কোনো পথ হয়তো নাও পেতে পারে নীতি নির্ধারকরা। কর্মীদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন ওই দুই কর্মকর্তা আরও লিখেছেন, চলতি বছরের শেষ তিন মাসে সক্ষমতার অর্ধেক ফ্লাইট পরিচালনা করার প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনার কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমবে। তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ এআর/২৬ আগস্ট
https://ift.tt/3leOdNj
0 Comments