রাশিয়া কোটি করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে

https://ift.tt/eA8V8J
মস্কো, ০৫ আগস্ট - করোনাভাইরাসে একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের বড় আকারে উৎপাদন আগামী মাসে শুরু করবে রাশিয়া। সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২১ সালে প্রতি মাসে কয়েক কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়াতে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি এগিয়ে রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাকসিনটি রাষ্ট্রীয় নিবন্ধন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। দেশটির শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মানটুরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সেপ্টেম্বরে বড় আকারের উৎপাদন শুরুর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। প্রতি মাসে আমরা কয়েক লাখ ডোজ উৎপাদন করতে পারব। উৎপাদন বাড়িয়ে আগামী বছর আমরা তা কোটি ডোজে নিয়ে যাব। আরও পড়ুন: রুশ ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা মন্ত্রী জানান, একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান মধ্য রাশিয়ার তিনটি স্থানে উৎপাদন প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে। গামালিয়ার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অর্থায়ন করছে রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। সংস্থাটির প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিনটির নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। দিমিত্রিয়েভ বলেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে তা ঘটলে আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশের চেয়েও এগিয়ে থাকব। কারণ করোনাভাইরাসের প্রথম নিবন্ধিত ভ্যাকসিন হবে তা। শনিবার রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানিয়েছেন, সাইবেরিয়াভিত্তিক ভেক্টর ল্যাব আরেকটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করছে। তা এখন ক্লিনিক্যালয় ট্রায়ালে রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে মানবদেহে তা পরীক্ষা শুরু হবে। গামালেয়ার ভ্যাকসিনটি তথাকথিত ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাকসিন। এটি দেহে আরেকটি ভাইরাসে ডিএনএ এনকোডিং প্রবেশ করায়। যা কোষের প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি উদ্ভাবন করা হচ্ছে অ্যাডেনোভাইরাসের ভিত্তিতে। একই ধরনের প্রযুক্তির করোনা ভ্যাকসিনের প্রটোটাইপ উদ্ভাবন করেছে চীনের ক্যানসিনো। চীনের ভ্যাকসিনটি এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষের দিকে রয়েছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন এন এইচ, ০৫ আগস্ট
https://ift.tt/2BZ8SDb

Post a Comment

0 Comments