এবার পৌরসভা ভোটের দামামা!

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০৬ অক্টোবর- দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছিল আগেই; ঠিকঠাক এগোচ্ছিল সব। কিন্তু সব তছনছ করে দেয় করোনাভাইরাস। ফলে করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেঁকে বসেন সংশ্লিষ্টরা। পৌর মেয়ররা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে ভোট না করতে চিঠি পাঠান। ফলে নির্বাচন আয়োজন থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আটকে যায় স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন প্রক্রিয়া। কিন্তু গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচন করার উপযোগী পৌরসভার তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। তালিকায় ২৮৪ পৌরসভা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮টিতে ভোট হবে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এবং বাকি ২৫৬ পৌরসভায় আসন্ন ডিসেম্বরে ভোট হওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ আছে। তবে শীত মৌসুমে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে নতুন বছরের জানুয়ারিতে যেতে পারে। কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারির আগে এ নির্বাচন করতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শুরু হলো পৌরসভা নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি। এখন সারা দেশে প্রার্থী ও সমর্থকদের সরব হওয়ার মধ্য দিয়ে বাজবে ভোটের দামামা। এর আগে কমিশনে পাঠানো পৌরসভার তালিকা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ এ তালিকা অনুমোদন করেন। মন্ত্রণালয় ও ইসি সূত্র বলছে, বিগত পাঁচ বছর আগে এক দিনে সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন হলেও সংখ্যা বেড়ে ২৫৪টিতে নির্বাচন করতে হবে ইসিকে। তবে এসব নির্বাচন এক দিনে না একাধিক দিনে হবে, সেটা ঠিক করবে কমিশন। আরও পড়ুন: সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার বললেন পূর্ত প্রতিমন্ত্রী জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা কমিশনকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আজ (গতকাল সোমবার) নির্বাচন করার উপযোগী তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। কমিশন এখন পর্যালোচনা করে দেখবে, কোন পৌরসভাটি আগে করা দরকার কোনটি পরে। তবে ভোট এক দিনে নাকি একাধিক দিনে করা হবে এবং করোনার কারণে ভোট পেছানো হবে কি না এ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সিনিয়র সচিব আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কথায় ভোট যে পেছানোর সুযোগ নেই, পৌরর তালিকা পাঠানোর মাধ্যমে তার ইতি ঘটেছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রণালয়ের পৌর শাখার কর্মকর্তা বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব পৌরসভায় মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, তার পুরো তালিকা পাঠিয়েছি। এ তালিকায় ২৮৪টি পৌরসভা রয়েছে। দফায় দফায় তালিকা পাঠানোর ঝামেলা এড়াতে এটা করা হয়েছে। কমিশন মেয়াদোত্তীর্ণ হিসাব কষে সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন করবে। ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে নির্বাচনযোগ্য পৌরসভা রয়েছে ৩২৮টি। এরমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী রয়েছে ২৫৬টি। তবে এ সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। কেননা, মামলাসহ আইনি জটিলতার কারণে বেশ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচন আটকে আছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। বেশির ভাগ পৌরসভায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শপথ নেন মেয়র ও কাউন্সিলররা। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সভা হয়। এ হিসাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে বেশির ভাগ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২০ অনুযায়ী, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। এ হিসাব অনুযায়ী যেসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে, সেগুলোতে নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ও কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। সূত্র আরো জানায়, এর আগে এক দিনে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এবার ২৮৪টির তালিকা পাঠিয়েছে। এখন এগুলোতে এক দিনে নাকি ধাপে ধাপে ভোটগ্রহণ হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তবে করোনা সংকট পরিস্থিতি ও স্কুল খোলা এবং বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ বিবেচনা করে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বরে ভোট হলে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে ডিসেম্বরে কোনোভাবে ভোটগ্রহণ করা না গেলে আগামী জানুয়ারির মধ্যে এসব পৌরসভায় ভোট করতে চায় কমিশন। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ এন এইচ, ০৬ অক্টোবর
https://ift.tt/34lP8Uc

Post a Comment

0 Comments