https://ift.tt/eA8V8J
নয়াদিল্লী, ০৬ অক্টোবর- ভারতের একদল বিজ্ঞানী করোনা শনাক্তে কাগজভিত্তিক পরীক্ষাপদ্ধতি উদ্ভাবন করছেন। এতে করোনা পরীক্ষার ফল খুব দ্রুত পাওয়া সম্ভব বলছেন বিজ্ঞানীরা। এটি অনেকটা গর্ভধারণের পরীক্ষার মতো। খরচও খুব কম। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের লেখা জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার নামে এই কিটের নামকরণ করা হয়েছে। ক্রিসপার নামের জিনভিত্তিক এক প্রযুক্তির সহায়তায় এই পরীক্ষা করা হবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফেলুদা কিটের ফলাফল পাওয়া যাবে এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে। খরচ পড়বে ৫০০ রুপি। অর্থাৎ বর্তমান বাজারমূল্যে বাংলাদেশের ৫৭৮ টাকার মতো। এ কিট উৎপাদন করবে ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী টাটা। এটি হতে পারে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য বাজারে আসা প্রথম কোন কাগজ-ভিত্তিক টেস্ট। আরও পড়ুন: ৩ হাজার ভায়াল রেমডেসিভির মিয়ানমারকে দিল ভারত ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবান বিবিসিকে বলেন, এটি খুব সহজ, নির্ভরযোগ্য, ব্যাপক-ভিত্তিতে উৎপাদনযোগ্য এবং কম খরচের একটি টেস্ট। প্রায় দুহাজার রোগীর ওপর এই কিট দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ছিলেন যাদের ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে। গবেষকদের দাবি, এই নতুন টেস্ট কিটের সংবেদনশীলতা ৯৬ শতাংশ এবং এটির নির্দিষ্টতা ৯৮ শতাংশ। কোন টেস্ট বা পরীক্ষা কতটা নির্ভুল তা মূলত এই দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। যে টেস্ট বা পরীক্ষার সংবেদনশীলতা খুব উচ্চ, সেটি যারই এই রোগ আছে তাদের সবাইকে শনাক্ত করতে পারবে। আর যে টেস্ট বা পরীক্ষার নির্দিষ্টতা অনেক বেশি, সেটি যাদের এই রোগ নেই, তাদের বেলায় সেটা বলে দিতে পারবে। ফেলুদা টেস্ট কিট এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তাই ভারতের ঔষধ বিষয়ক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এটি বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। গ্লোবাল হেলথ এন্ড হেলথ পলিসির গবেষক ডঃ অনন্ত ভান বিবিসিকে বলেন, ফেলুদা টেস্ট এই অ্যান্টিজেন টেস্টের জায়গা নিতে পারে। কারণ এটি দামে অনেক সস্তা এবং অনেক বেশি নির্ভুল। আইজিআইবির পরিচালক ডঃ অনুরাগ আগরওয়াল বলেন, এই নতুন পরীক্ষাটি পিসিআর টেস্টের মতো নির্ভরযোগ্য, এটি অনেক দ্রুত করা যায় এবং ছোট ল্যাবরেটরিতে করা যায়। এটির জন্য অত্যাধুনিক মেশিনের দরকার নেই। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল এন এইচ, ০৬ অক্টোবর
https://ift.tt/34lLVUE
0 Comments