https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ৩১ আগস্ট- শোকের মাস আগস্ট শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ। শোকের মাসে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বড় ধরনের কোন সিদ্ধান্ত নেন না। স্বাভাবিকভাব রুটিন কার্যক্রমগুলো চলে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও বড় ধরণের কোন কর্মসূচী বা কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হয়না। শোকের মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু বড় ধরণের পদক্ষেপ নেবেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ইঙ্গিত করেছে এবং সেখানে সরকারে একটি বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে। কিছুদিন ধরেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন ছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় রদবদল হচ্ছে হচ্ছে করেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এখন মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলেই আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে এবং শেষ পর্যন্ত এটা একটি বড় ধরণের রদবদলে রূপ নিতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। গত কিছুদিন ধরেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে অত্যন্ত সরব দেখা গেছে, বিশেষ করে করোনা সঙ্কটের সময় তাঁর ভূমিকা দলের ভেতরে এবং দলের নীতিনির্ধারক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যক্রমে খুশী বলে একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। মতিয়া চৌধুরী তিন দফা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৮ টানা ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে সফল মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন এবং এই কারণে মন্ত্রিসভায় তিনি ফিরে আসতে পারেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। শুধু বেগম মতিয়া চৌধুরী নয়, আমির হোসেন আমুরও মন্ত্রিসভায় ফিরে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে আসলে তারা মন্ত্রিসভায় ফিরবেন কিনা এই সম্পর্কে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর একটি আনকোরা মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। কারণ তখনকার বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। সেসময়ে পুরো দেশ এবং সরকার মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার অর্ধশত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান চিন্তা ছিল মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে ঘিরে। এখন করোনা সংক্রমণের শুরুতেই আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন যে, যারা কাজ করতে পারবেন, যারা সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন তাঁদেরকে সামনে নিয়ে আসা প্রয়োজন। এই কারণে সাইডলাইনে বসে থাকা হেভিওয়েটদের নিয়ে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। আরও পড়ুন: বিতর্কিত এবং অনুপ্রবেশকারীরা যুবলীগে পদ পেতে বেশ তৎপর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগের বি টিমকে দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। এবার আওয়ামী লীগ তাদের এ টিম কে নামাবে। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, এটা আসলে বি টিম নয়। ২০০৯ এর মন্ত্রিসভাটা ছিল আওয়ামী লীগের বি টিম। এবার যে মন্ত্রিসভা হয়েছে তা আসলে আওয়ামী লীগের সি টিম। এবার আওয়ামী লীগে যে পরিবর্তন হবে তাতে আওয়ামী লীগের যারা যোগ্য, পারফর্ম করতে পারেন এসমস্ত লোকদেরকেই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে এই মন্ত্রিসভার পরিবর্তন কবে বা কিভাবে হবে সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। একাধিক সূত্র বলছে যে, ৬ সেপ্টেম্বরের আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই যে সমস্ত মন্ত্রীদের নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন তাদের কার্যক্রম, তারা গত দেড় বছরে কি কি সাফল্য এবং ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছেন সেই সম্পর্কে পূর্ণাংগ রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন। কিছু কিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রী খতিয়ে দেখেছেন। এই সমস্ত পর্যালোনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার গঠন এবং এর রদবদল করার একক এখতিয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন, তখনই তিনি মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে বলবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকেই মন্ত্রিসভার রদবদলের জন্যে এক ধরণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এবং এই নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে গুঞ্জন কম নেই। সূত্র : বাংলা ইনসাইডার এম এন / ৩১ আগস্ট
https://ift.tt/34OuCgP
0 Comments