খুলনায় পাউবোর জমি দখল করে আছে২০৯৬ জন

https://ift.tt/eA8V8J
খুলনা, ০২ সেপ্টেম্বর- খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এর জায়গা গিলছে ২০৯৬ দখলদার। ৪৫টি মৌজার মধ্যে আড়ংঘাটা শলুয়া, শাহাপুর থুকড়া, মিকশি মিল, বটিয়াঘাটার আমভিটা, ডুমুরিয়াট কৈয়ে বাজার, সাচিবুনয়া, সাহস, রাজবন্দ, কৃষ্ণনগর, চক আসান খালীসহ বিভিন্ন স্থানের জমি এসব দখলদাররা নিয়ন্ত্রণ করছে। পাউবো খুলনা বিভাগীয় উপ প্রকৌশলী মো. সাঈদুর রহমান বলেন, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ২০৯৬ জন দখলদার শনাক্ত হয়েছে। এসব দখলদারদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে। যাতে তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করা যায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, দখলদার অধিকাংশই প্রভাবশালী। তারা দখলকৃত জমিতে ইতোমধ্যেই বহুতল ভবন, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য খামার, মাছের ডিপো, মিল, কল-কারখানা নির্মাণ করছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে মৌখিক এবং লিখিত নোটিশ প্রদান করলেও কোনও কাজে আসছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নিতে পারছে না পাউবো কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে উচ্ছেদ অভিযানও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এসব দখলদারদের তালিকা করেই দায়িত্ব পালন শেষ করতে হচ্ছে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। ডুমুরিয়ার থুকড়া এলাকায় পাউবোর জমির দখলদার মিষ্টি দোকানদার বিজয় কুমার বলেন, পাউবোর এ জমিতে ২০ বছর ধরে আছি। এ পর্যন্ত এখানে পাউবোর কেউই খোঁজ নিতে আসেনি। কয়েকবার পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দোকানের জমি পরিমাপ করে ডিসিআর নেয়ারও চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন- মৌলভীবাজারে গাঁজা খাইয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের সাহাপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা গোলাম মফিজ অভিযোগ করেন, পাউবোর জায়গাগুলো দখলে নিয়ে প্রভাবশালীরা বিক্রি করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষই এ জমি কিনেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজার কমিটির সভাপতি নিজাম গাজী প্রতিবছর এখানকার দোকানগুলো থেকে চাঁদা তুলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের দিয়ে থাকেন। পাউবো খুলনার উপ-সহকারী প্রকৌশলী-১ মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে যোগদান করার পর বেশ কয়েকটি স্থানে দখলদারদের উচ্ছেদ করেছি। এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন সময়ই উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়। তখন দখলদাররা উকিল নোটিশ দেওয়াসহ মামলা করেন। কারণ, বর্তমান আরএস রেকর্ডে দখলদাররা ওই জমি তাদের নামে নিয়ে নিয়েছে। ভূমি জরিপের সময়ে তারা ওই রেকর্ডের বুনিয়াদে হয়রানি করছে। তিনি বলেন, জনবল সংকট থাকার কারণে সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। পাউবো থেকে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গেলে রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীরা হস্তক্ষেপ করে থামিয়ে দেয়। তারপরও দখলদারদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকা ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমএ/ ০২ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/3bgs4tl

Post a Comment

0 Comments