https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২৭ আগস্ট - অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও করোনার ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক। তিনি বলেন, আমরা মূলত শিশুদের টিকাদানের বিষয়ে কাজ করি। তবে যেহেতু ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করি তাই সেখানে আমাদের কিছু সম্পৃক্ততা রয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসীসহ অধিদফতরের অন্য লাইন ডিরেক্টরা উপস্থিত ছিলেন। দেশে ভ্যাকসিন কবে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৪১টি ভ্যাকসিন ডেভোলপ হয়েছে, হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে থার্ড ফেইজের ট্রায়ালে রয়েছে চায়নার তিনটি, অক্সফোর্ডের একটি, মর্ডানার একটি ও ফাইজার একটি । থার্ড ফেইজের বা তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের পর সিদ্ধান্ত আসবে ভ্যাকসিন কি অবস্থাতে যাবে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন (১৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে) আবার কিছু রয়েছে সিঙ্গেল ডোজ (একবার)। তাই এখনই বলা হচ্ছে না ভ্যাকসিন ঠিক কবে আসবে। কারণ সব কিছু নির্ভর করছে থার্ড ফেইজে ট্রায়ালের রেজাল্টের ওপর। তবে সারা পৃথিবী চেষ্টা করছে, সবাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। সেই প্রস্তুতির মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই বা গ্যাভি-টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) কাজ করছে। আর যখনই ভ্যাকসিন আসুক না কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যেন একসঙ্গে পায় সে বিষয়ে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কো ভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পৃথিবীর সবাই যেন সমহারে ভ্যাকসিন পায়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কো ভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিতে ভ্যাকসিন প্রথমে যাবে ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কাজ করা চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখের কাছে। আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল দৌলতপুর থানার ওসির পুরো বিশ্বে এর রাফলি সংখ্যা শতকরা তিন শতাংশ। পরবর্তীতে সেখানে যোগ হবে যারা অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ষাট বছরের বেশি বয়সীরা। সে হিসেবে ২০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। সেটা মাথায় রেখেই ২০২১ সালের মধ্যে যেন ভ্যাকসিন আসে তার প্রস্তুতি নেওয়া। বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। তবে এই কো ফাইনেন্সিং এর মডালিটি কি হবে সেটা সেপ্টেম্বরে গ্যাভির বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিন শতাংশ ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে প্রথমবার প্রায় ৫১ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। সব কিছু মিলিয়ে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে পর্যায়ক্রমে। অনুষ্ঠানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রথমে সেখানেই যাওয়া হবে যেখানে পিসিআর পরীক্ষা নেই এবং সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। অ্যান্টিজেন টেস্ট যে কোনও সময় শুরু হবে। একইসঙ্গে আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) থেকে কোভিড নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন এন এইচ, ২৭ আগস্ট
https://ift.tt/3ji4mQ1
0 Comments