এক ডাক্তারের হাতেই তিন প্রসূতির মৃত্যু, পেয়েছেন কসাই খেতাব

https://ift.tt/eA8V8J
ঝিনাইদহ, ২৭ আগস্ট - মহেশপুর সীমান্ত এলাকার ক্লিনিকগুলোতে সোহেল রানা নামে কথিত এই চিকিৎসকের নাম শুনলে মানুষ এখন আঁতকে ওঠে। একের পর এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে কসাই খেতাব পেয়েছেন সোহেল রানা। তার বাড়ি বাগেরহাট শহরের পিসি কলেজ রোড এলাকায়। বাবার নাম আকতার হোসেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনিক ঝামেলা না থাকার কারণে খালিশপুর, জীবননগর ও মহেশপুরের বাজার-ঘাটে গজিয়ে ওঠা নবায়নহীন ক্লিনিকগুলোতে জটিল অপারেশন করেন এই চিকিৎসক। গত সপ্তাহে সিজারিয়ান অপারেশনের পর তিন প্রসূতির মৃত্যু ঘটেছে এই ডাক্তারের হাতে। ঘটনার পর গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। ডাক্তারি সনদসহ তাকে কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হলেও তিনি আসেননি। লোক মারফত সত্যায়িতবিহীন কাগজপত্র ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তার জমা দেয়া কাগজপত্র ঘেটে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে খুলনা মেডিকেল থেকে ইন্টার্নি করেছেন সোহেল রানা। তার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নং ৪০৭১১। আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে যৌন হয়রানির অভিযোগে বাবা গ্রেফতার জানা গেছে, গত সপ্তাহে মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লালের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিক, একই বাজারের নাজমুল হাসান মনুর মালিকানাধীন মা ও শিশু ক্লিনিক এবং মহেশপুর শহরের সুবাশ চন্দ্র দাসের মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের পর যথাক্রমে লাবানী আক্তার, মরিয়ম খাতুন ও রিনা খাতুন নামে তিন প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। এই তিন ক্লিনিকেই অপারেশন করেন ডা. সোহলে রানা। সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, ৩ প্রসূতি মৃত্যুর পর শৈলকুপার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখার জন্য গত ২০ আগস্ট চিঠি দেয়া হলেও ক্লিনিকগুলো এখনো চলছে। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনজুমান আরা বেগমকে ক্লিনিক বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হলেও তার পরোক্ষ ইন্ধনে ক্লিনিক চলছে বলে অভিযোগ। তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, সিভিল সার্জন চিঠি দেয়ার পরও কিভাবে ক্লিনিক চলে আমি বুঝি না। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনজুমান আরা বেগমই ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, আমরা ডা. সোহাল রানাকে খুজছি। তাকে সংবাদও দেয়া হয়েছে। কিন্ত তিনি আসেননি। বৃহস্পতিবার তিনি মহেশপুর ভিজিট করবেন বলেও জানান। সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, সোহেল রানাকে আমরা তলব করেছি। তিনি হাজির না হয়ে সত্যায়িত ছাড়াই কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল এন এইচ, ২৭ আগস্ট
https://ift.tt/31uPl7m

Post a Comment

0 Comments