https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২৩ জুলাই- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তাঁর ছেলে রাহাত মালেক শুভ্রকে দুর্নীতি দমন কমিশন তলব করবে। দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাস্থখাতের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে। সেই তদন্তের প্রেক্ষাপটেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিমত দিয়েছেন। কমিশন এই অভিমতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে। এই প্রেক্ষাপটেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ছেলেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের তলব করা হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে কবে কখন ডাকা হবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদউল্লাহকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তিনি জনপ্রশাসন সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পুত্রর বিরুদ্ধে মিঠু সিন্ডিকেটসহ আরো বেশকিছু অভিযোগ করেছিলেন। সেই চিঠির কপি এখন দুর্নীত দমন কমিশনে এসেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। আর এসব ব্যাপারে খতিয়ে দেখার জন্যই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তাঁর পুত্রকে ডাকা হবে বলে জানা গেছে। আগেই এন-৯৫ মাস্ক, ভেন্টিলেটরসহ করোনা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটা নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্র রাহাত মালেক শুভ্রের নাম। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে তীব্র সমালোচনাও হয়েছে। জানা গেছে যে, এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, জিএমআই নামে যে কোম্পানিটি এই মাস্ক সরবরাহ করেছিল, সেই কোম্পানি বিনা টেন্ডারে ভুয়া এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছিল। এই কোম্পানিটির সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্রের যোগসাজশের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, এন ৯৫ মাস্ক- রিজেন্ট- জেকেজির মতো স্বাস্থ্যখাতে যেসমস্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে দুদক তদন্ত করছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তল্লাশি চালায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিদায়ী মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে দুই ঘন্টা রুদ্ধদ্বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই প্রেক্ষিতেই মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র রাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে আইনের কোন ব্যত্যয় আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে দুদকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন যেকোন ব্যক্তিকেই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের রয়েছে। আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যের ডিজিসহ কয়েকজন ফেঁসে যেতে পারেন দুদকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শুধু করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে কেনাকাটা নয়, বরং আগে থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছেলেকে নিয়ে তারা তদন্ত করছিলেন। এই তদন্তের অংশ হিসেবেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএস ড. আরিফুর রহমান শেখকে দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্রের ব্যাপারে তাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান জাহিদ মালেক। এরপর থেকেই তাঁর পুত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কেনাকাটার বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই তারা অনুসন্ধান শুরু করে। অবশ্য যখন দুদক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন, তখন মন্ত্রী তাঁর তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। সূত্র: বাংলা ইনসাইডার আর/০৮:১৪/২৩ জুলাই
https://ift.tt/2ZPLpxe
0 Comments