https://ift.tt/eA8V8J
চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই- কালুরঘাট সেতু মেরামতের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মেরামতের নামে ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও ৫-৭ লাখ টাকার কাজ করে বাকি টাকা রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি কনস্ট্রাকশন আত্মসাতের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন। গত মঙ্গলবার এ অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠান আইনজীবী সেলিম চৌধুরী। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী। দুজন বিভাগীয় প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে কালুরঘাট সেতুর মেরামত কাজ এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ৯০ বছর বয়সী কালুরঘাট সেতুর মেরামত কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। সেতু কার্পেটিং, লাইন ঠিক করাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। কিন্তু যান চলাচলের কারণে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করা হয়। মেরামত কাজ করতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে। ঠিকার কাজ চুরি করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক বছরে যতবার নষ্ট হবে ততবার ঠিকাদারকে কাজ করে দিতে হবে। বিল পাবে কাজ শেষ হওয়ার পর। সেলিম চৌধুরী বলেন, মাত্র ৫ লাখ টাকা খরচ করে বাকি টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এবি কনস্ট্রাকশনের মালিক অনিমেষ বড়ুয়া বলেন, দুই বছর পর মেরামতের কাজ হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে সেতুটি বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কিন্তু গাড়ি চলাচলের কারণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করা যায় না। রাতে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। এখনো কাজ চলমান। রেলওয়ে আমাকে বিল দেয়নি। এ ছাড়া আমাকে পুরো এক বছর কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সেখানে টাকা আত্মসাতের কথা অবান্তর। ১৯৩০ সালে নির্মিত ৯০ বছর বয়সী কালুরঘাট সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ভোগান্তি মাথায় নিয়ে দিনে এক লাখের বেশি মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পূর্ব পটিয়া, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, শহরের চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এ সেতুর ওপর নির্ভরশীল। কালুরঘাট সেতুর জায়গায় নতুন করে একটি দ্বিমুখী সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। সূত্র: আমাদের সময় আর/০৮:১৪/২৩ জুলাই
https://ift.tt/2OPOS8E
0 Comments