বিধানসভার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে দিল্লি গেলেন দিলীপ-মুকুলরা

https://ift.tt/eA8V8J
কলকাতা, ২৩ জুলাই- বিধানসভা নির্বাচনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে দিল্লি গেলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। টানা একসপ্তাহ ধরে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁদের। বুধবার দিল্লি গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সঙ্গে ছিলেন রাহুল সিনহা। দিলীপ ঘোষ বলেন, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে আসতে পারছেন না। কিন্তু বৈঠক জরুরি। রাজ্যের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে প্রদেশ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি যাওয়া।বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও জানান, ২০২১এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতেই এই বৈঠক। মঙ্গলবার মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্ত দিল্লিতে গিয়েছেন। ২২ জুলাই থেকে বৈঠক শুরু হচ্ছে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ ছদিন চলতে পারে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হতে পারে সময়সীমা। জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাংলা নিয়ে বৈঠকে কাটাছেঁড়া চলতে পারে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা ধরে ধরে আলোচনা করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে জেলা সভাপতিদেরও ডাকা হচ্ছে। যখন যে জেলাকে নিয়ে আলোচনা হবে, তখন সেই জেলার সভাপতিকে বৈঠকে থাকতে হবে। থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদদেরও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে অমিত শাহ ছাড়া বাংলার দায়িত্ব যে তিন নেতার হাতে, সেই শিব প্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেনন বৈঠকে থাকবেন বলে খবর। আরও পড়ুন:বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গজুড়ে লকডাউন বিজেপি সূত্রে খবর, এই সপ্তাহব্যাপী এই বৈঠকে মুকুল রায়ের দলে দায়িত্ব বাড়তে পারে। কারণ, মুকুল রায়কে নিয়ে সম্প্রতি নানা জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। দলে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাননি তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ মুকুলকে হারাতে চাইছেন না। তাই তাঁর দায়িত্ব বাড়তে পারে। এদিকে, একুশের ভারচুয়াল সমাবেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা জবাব দিয়ে মঙ্গলবারই দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান হয়েছে। আর ১০ বছরের তৃণমূল সরকার চুটকি বাজালে সরে যাবে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। বাংলার কথা ভাবার জন্য বিজেপি এসে গিয়েছে। সূত্র: কলকাতা২৪x৭ আর/০৮:১৪/২৩ জুলাই
https://ift.tt/3hsTZbj

Post a Comment

0 Comments