তৃণমূলের শহিদ দিবস-এর পালটা এবার বিজেপির প্রহসন দিবস!

https://ift.tt/eA8V8J
কলকাতা, ২১ জুলাই- দিদিকে বলো কর্মসূচি করে জনসংযোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল তৃণমূল। বসে থাকেনি বিজেপিও। পালটা দিলীপ ঘোষকে বলো কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের দিন যত চড়ছে, ততই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে বঙ্গ বিজেপি। এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস-এর পালটা হিসেবে প্রহসন দিবস-এর ঘোষণা করল বিজেপি। সোমবার এমনই ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কী হবে সেই কর্মসূচিতে? দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গোটা রাজ্যজুড়ে জায়গায়-জায়গায় কালো পতাকা, কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভে দেখাবেন বিজেপি কর্মীরা। মূল লক্ষ্য, তৃণমূলের শহিদ দিবসের বিরোধিতা করা। বস্তুত করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, রেশন নিয়ে দুর্নীতি, উম্পুনে ত্রাণ দুর্নীতি, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু, চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যু-রাজ্যের যে প্রান্তেই যা কিছু ঘটছে, বিরোধিতায় পথে নামছে বিজেপি। ফলে রাজনীতির সংযোগ ছাড়া বিষয়েও লেগে যাচ্ছে রাজনৈতিক রং। আরও পড়ুন:সবজান্তা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে বিপদ বাড়ছেই, মমতাকে কটাক্ষ সুজনের বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৯৯৩ সালে বাম জমানায় গুলিতে নিহত শহিদদের স্মরণ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ দিবস পালন করেন। কিন্তু শহিদ দিবস পালনের কোনও অধিকার নেই মুখ্যমন্ত্রীর। গণতন্ত্রের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময়ে যে আন্দোলন করেছিলেন, ক্ষমতায় এসে তিনি নিজেই রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র লুঠ করে নিয়েছেন। শহিদ দিবস পালন শুধুই স্রেফ প্রহসনে পরিণত হয়েছেন। তাই ওদের শহিদ দিবসের পালটা হিসেবে আমরা প্রহসন দিবস কর্মসূচি পালন করব। এখানেই থেমে না থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, গোটা রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা-কর্মীদের পরপর খুন করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের বিধায়ককে খুন করা হয়েছে। চোপড়াতেও কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। গোটা রাজ্যের কোথাও নেই মহিলাদের সুরক্ষা নেই। গোটা রাজ্যজুড়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি, মানুষ এই সরকারকে আর মেনে নিতে পারছে না। উল্লেখ্য, বাংলার করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে রবিবারই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বাংলাকে করোনা হাব বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মোদীজি বলেছিলেন, সংক্রমণ হচ্ছে তাই সাবধানে থাকুন। তখন দিদিমণি হাসাহাসি করে বলেছিলেন, দিল্লি দাঙ্গা থেকে নজর ঘোরাতেই এসব বলা হচ্ছে। তারপর উনিও বুঝতে পারলেন। কিন্তু যতদিনে বুঝলেন, ততদিনে বাংলার মানুষের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সূত্র: এই সময় আর/০৮:১৪/২১ জুলাই
https://ift.tt/3hlucBU

Post a Comment

0 Comments