https://ift.tt/eA8V8J
কয়েক বছর আগের ঘটনা। ভারতের ঝাড়খণ্ডের সাবেক বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চুতিয়া বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। জনগণের সামনে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারে বিজেপির ভেতরেও বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। রাঁচিতে ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে বিজেপির প্রবীণ ওই নেতা ছিলেন প্রধান অতিথি। নিজের বক্তব্যের ফাঁকে তিনি হছাৎ করেই বলতে শুরু করেন, ঝাড়খণ্ডে উন্নয়নের বিষয়ে ভাবা পাপ। এখানে শুধুই রাজনীতি হয়। মিডিয়া মু মে মাইক ডালকে পুছতা হ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী কৌন বনেগা? কোই ভি চুতিয়া বনে, মুঝে ক্যায়া ফারাক পড়তা হ্যায়! যদিও চুতিয়ার আভিধানিক অর্থ- নির্বোধ, মূর্খ বা বোকা। হিন্দি ভাষায় এর অর্থ বোকা হলেও সাধারণভাবে গালিগালাজ হিসেবে শব্দটি ব্যবহারের চল বেশি। বাংলায় এটি অবশ্যই অশ্লীল শব্দ। সে কারণে এমন আপত্তিকর শব্দের প্রয়োগে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ বার সেই চুতিয়া শব্দ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন আসামের চাকরিপ্রার্থী এক তরুণী। আবেদনে যতবারই নিজের পদবি লিখছেন, অনলাইনে সতর্ক করে বলা হচ্ছে- অশালীন ভাষা ব্যবহার করা চলবে না! নিজের পদবি অনলাইনে লিখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে চাকরির আবেদন করতেই পারেননি ওই তরুণী। শুধু পদবির কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধেমাজি জেলার গোগামুখের তরুণী প্রিয়াঙ্কা চুতিয়া। আরও পড়ুন:খবর পড়তে পড়তে দাঁত খুলে গেল পাঠিকার! ভিডিও ভাইরাল আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএ করা প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় বীজ কর্পোরেশন লিমিটেডের চাকরির পরীক্ষায় অনলাইনে আবেদন করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও আবেদন জমা দিতে পারিনি। আবেদনের সময় প্রতিবার সতর্ক করে বলা হয়েছে, অশ্লীল শব্দ লেখা যাবে না। আসামের ছয় জনগোষ্ঠীর একটি চুতিয়া। বাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মরান, মটক, তাই, আহোম ও কোচ রাজবংশী। পদবির মতো সামান্য কারণে চাকরির প্রথম ধাপ, মানে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। আসাম-কন্যা একা নন, প্রিয়াঙ্কার এই দুর্ভোগের কথা জানতে পরে তার পাশে দাঁড়িয়েছে চুতিয়া গোষ্ঠী। বিষয়টি নিয়ে প্রিয়াঙ্কা রাষ্ট্রীয় বীজ কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে অভিযোগ করেছে। তাদের বক্তব্য, এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তা ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। চুতিয়া সংগঠনগুলো এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ২০১২ সালেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনেক চুতিয়া পদধারীর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। আসামের জাতিগোষ্ঠীকে এভাবে বারবার অপমান করে নানা দিক থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর/০৮:১৪/২১ জুলাই
https://ift.tt/3jr1Ibt
0 Comments