https://ift.tt/eA8V8J
ওয়াশিংটন, ২২ জুলাই- করোনা মহামারীর সময়ে একটি ছোট্ট টুকরো কাপড় (মাস্ক) জনস্বাস্থ্য, নাগরিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা বিষয়ে আমেরিকানদের মধ্যে বিবাদের জন্ম দিয়েছে। কিছু আমেরিকান মাস্ক পরতে চাচ্ছে না। আবার যারা মাস্ক পরছে তারা ক্ষুব্ধ হচ্ছে তাদের ওপর যারা মাস্ক পরার আদেশ অমান্য করছে। কানসাসের বব পামগ্রেন তার রেস্টুরেন্টে ঢোকার আগে এক ক্রেতাকে মাস্ক পরতে বলেন। কিন্তু চল্লিশোর্ধ্ব সে ব্যক্তি উল্টো পামগ্রেনের দিক বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন। পামগ্রেন তাকে বলেন, করোনাভাইরাস কার কাছে বন্দুক আছে বা নেই সেটার তোয়াক্কা করে না। শুধু পামগ্রেনের রেস্টুরেন্টের ঘটনাই শেষ নয়। সারা আমেরিকায়ই মাস্ক পরা নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি মুদি দোকানের বাইরে মাস্ক পরা নিয়ে ঝামেলায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে জেরি লুইস নামে একজন র্যাপার (সংগীতশিল্পী) গুলিতে মারাও যান। রেস্টুরেন্টের এই তর্কাতর্কি মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমেরিকার জনগণের মধ্যে মতের ভিন্নতাই প্রতিফলিত করে। মাস্ক পরার পক্ষে এবং মাস্কবিরোধীদের মধ্যে এ বিভাজন ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। আমেরিকায় মাস্ক পরা এখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেরও কারণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আমেরিকায় বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলোকেও প্রায়ই দলীয় চোখে দেখা হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টার পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাটই মাস্ক পরাকে সমর্থন করে। কিন্তু বেশির ভাগ রিপাবলিকানই তা সমর্থন করে না। রিপাবলিকানরা মূলত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই অনুসরণ করছে। ট্রাম্প নিজেই মাস্ক পরতে আগ্রহী নন। তবে এ মাসের শুরুতে একটি সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় সর্বসাধারণের সামনে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরেছিলেন ট্রাম্প। সূত্র : বিবিসি
https://ift.tt/2E8poBt
0 Comments