মাস্ক পরে ব্যায়ামে আছে বড় ঝুঁকি!

https://ift.tt/eA8V8J
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আগ্রাসন কমার কোনো নাম নেই। এখন পর্যন্ত কোটিরও বেশি আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রেহাই পাবার জন্য মাস্ক ব্যবহারকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক দেশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বাইরে মাস্ক পরা। ফলে মুখে মাস্ক পরে বেরোনো এখন দৈনন্দিন জীবনের অংশ। কিন্তু সম্প্রতি সেই মাস্কেরই একটি বিপজ্জনক দিক উঠে এসেছে সামনে। মাস্ক পরে ব্যায়াম বা দৌড়াতে গিয়ে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হচ্ছিল তার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায় মুখে মাস্ক থাকা অবস্থায় শারীরিক পরিশ্রমের ধকল নিতে পারেনি ওই ব্যক্তির ফুসফুস। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট ফেমিনার একটি প্রতিবেদনে এমন মর্মান্তিক ঘটনা উঠে আসে। ফলে সংক্রমণ রুখতে মাস্ক যত কার্যকরই হোক, অন্তত ব্যায়াম বা অন্য কোনও শারীরিক কসরত করার সময় তা থেকে দূরে থাকতেই হবে। নিজের নিরাপত্তার জন্যই জগিং বা ব্যায়ামের সময় কখনও মাস্ক না পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি নিজের বাড়িতেই ব্যায়াম করা হয়, মাস্ক পরার এমনিতেই প্রয়োজন নেই। আর লকডাউন উঠে যাওয়ার পর যদি কেউ পার্কে দৌড়াতে যায়, তা হলে খেয়াল রাখতে হবে যে বাকি ব্যক্তিদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় থাকে। এই দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ছাড়া দৌড়ালে বা ব্যায়াম করলে ইনফেকশন ছড়ানোর ভয় নেই। মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় ব্যায়াম করার মধ্যে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। ব্যায়াম, বা যে কোনও শারীরিক কসরত করার সময় আমাদের ফুসফুস বাতাস বেশি টানি, ফুসফুসকেও অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। মুখে মাস্ক থাকলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথে একটা বাধার সৃষ্টি হয়, যার ফলে আপনি একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, হাঁফিয়ে যান। তা ছাড়া একটানা অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে তা ঘামে ভিজে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। আউটডোর ব্যায়াম করতে চান অথচ মাস্ক ছাড়া স্বস্তিবোধ করছেন না? আপনার হাঁপানি বা হার্টের সমস্যা থাকলে কিন্তু একেবারেই মাস্ক পরে ব্যায়াম করা চলবে না। এমনিতে যারা সুস্থ, তারাও মাস্ক পরে কোনওরকম ভারি ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। জোর করে ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন না, একটু ক্লান্ত লাগলেই থামিয়ে দিন। এম এন / ৩০ জুন
https://ift.tt/2NTaAIJ

Post a Comment

0 Comments