https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০৩ মে - বিশাল অংকের জরিমানা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি টাকারও বেশি। এই অর্থ পরিশোধ না করলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড ফুটবলার ট্রান্সফারে অংশ নিতে পারবে না। ফিফার এ নির্দেশনার কথা শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে ক্লাবটিকে। প্রতিক্রিয়া সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব স্বীকার করেছে,ভুলের কারণেই এই গচ্ছা দিতে হচ্ছে তাদের। ভুটলাকে পূঁজি করে তিন বিদেশি ফুটবলার তাদের কাছ থেকে টাকাটা আদায় করছে কোনো ম্যাচ না খেলেই। এমনকি নিবন্ধনকৃত খেলোয়াড় না হয়েও। সাইফকে চিঠি দিয়ে ফিফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এক ভিডিওবার্তায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন,দুই মৌসুম আগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের তিন বিদেশি খেলোয়াড় ম্যাকো ভিলিয়াম, সাভা গারদাসেভিচ ও গোরান ওবরাদভিচ তাদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ফিফা সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত দুই বছর ধরেই এই খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অনেক চিঠিপত্র চালাচালি করা হয়। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দেয়া হয়। সব বিষয় যাচাই-বাছাই করে ফিফার ডিআরসি কর্তৃক এর আগে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক যোগ করেন, সিদ্ধান্তগুলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব না মানায় সর্বশেষ গত মার্চ মাসে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি কর্তৃক সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ওই তিন খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাওনা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার এবং প্রত্যেকটি কেসের জন্য ৫০০০ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়। ২৩ মার্চ পর্যন্ত ছিল নির্ধারিত সময়। এরপরও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কিছুদিন অপেক্ষা করে। যেহেতু আমাদের বা ফিফার কাছে পাওনা পরিশোধের প্রমাণ আসেনি, তাই আজ (শনিবার) আমরা সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে অফিসিয়ালি জানিয়ে দেই যে, এই অর্থ পরিশোধের প্রমাণাদি যতদিন পর্যন্ত না পাওয়া যাবে ততদিন তাদের মূল এবং যুবদলের ট্রান্সফারও বন্ধ থাকবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৩ মে
https://ift.tt/2WgKzXo
0 Comments