মেসির কাছেও বিষয়টা লাগছে অদ্ভুত

https://ift.tt/eA8V8J
করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে স্পেনেও শুরু হতে যাচ্ছে লা লিগার বাকি মৌসুম। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন, যথাযত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৮ জুন থেকে সব ধরণের খেলাধুলা শুরু করা যাবে। লা লিগা সভাপতি হ্যাভিয়ের তেবাস ঘোষণা দিয়েছেন, ১১ জুন সেভিয়া ডার্বি দিয়েই শুরু হবে লা লিগার বাকি থাকা মৌসুম। মাঠে ফেরার জন্য বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে লা লিগার ক্লাবগুলো। বলা বাহূল্য, লা লিগার প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। এ বিষয়টাই বার্সা অধিনায়ক এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির কাছে লাগছে বেশ অদ্ভুত। ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের কারণে এই বছর আর দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশই সম্ভব হবে না। বিশেষ করে স্প্যানিশ সরকার চায় না, কোনোভাবেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ তৈরি হোক তাদের দেশে। এ কারণে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খেলা মাঠে গড়াতে হবে। অ্যাডিডাসে এক কলামে মেসি লেখেন, এই মৌসুমটা পুরো ফাঁকা স্টেডিয়ামেই শেষ হতে চলেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সে সঙ্গে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও আমাদের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। অন্য যে কোনো সময়ের মতই এখনকার প্রস্তুতি আমাদের সমানই। কোনো বৈপরিত্য নেই। ফাঁকা গ্যালারিতে প্রস্তুতি এবং ম্যাচ- বিষয়টা কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারছেন না বার্সা অধিনায়ক। তিনি বলেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন এবং দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলার মানসিক প্রস্তুতি নেয়াটাই আমার কাছে অদ্ভুত মনে হচ্ছে। যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই মাঠে নামার সময় মনযোগ ধরে রাখাটা একটা মৌলিক বিষয়। খেলাধুলার ক্ষেত্রে মানুষ মনে করে খেলোয়াড়দের ৪০, ৫০ কিংবা ৬০ ভাগ মানসিক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এটা অবশ্য খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি মনে করি, মানসিক শক্তির বিষয়টা অবশ্যই অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টা সামনে রেখেই আমরা পেশাদার খেলোয়াড়রা কাজ করে যাচ্ছি। দর্শকহীন ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার অভিজ্ঞতা এর আগেও হয়েছিল মেসির। ২০১৭ সালে কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের সংঘর্ষ হওয়ার কারণে সেবার লাস পালমাসের সঙ্গে ম্যাচ বার্সা খেলেছিল পুরোপুরি ফাঁকা স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। ওই ম্যাচের কথা মনে করে মেসি বলেন, সেটাও ছিল সত্যিই অদ্ভুত। তবে এবারের ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়াটাকে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিতে হবে আমাদের। কারণ, এ ধরনের বিষয়টি তো সারা বিশ্বে একই রকম ঘটছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০২ জুন
https://ift.tt/2AvcgEN

Post a Comment

0 Comments