https://ift.tt/eA8V8J
টাঙ্গাইল, ০৮ মে - মির্জাপুরে মহামারি করোনা পরিস্থিতি অন্য তুলনায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত মাত্র আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ এপ্রিল একজন মারা যান। আক্রান্তদের সবাই একই এলাকার। তাদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন করে দেওয়া হয় ওই এলাকা। লকডাউনে থাকা দুই শতাধিক পরিবারকে দেওয়া হয় পর্যাপ্ত সহায়তা। নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমেই চার কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন করোনাকে। করোনার বিরুদ্ধে মির্জাপুরে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছেন চার উপজেলা প্রশাসনের ওই চার কর্মকর্তা। তারা হলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদের নেতৃত্বে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম প্রশংসিত হচ্ছে। মির্জাপুরে প্রশাসনের সহযোগিতায় সরকারি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার কর্মহীন পরিবার খাদ্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এ চার বক্তি প্রতিনিয়ত সরকারি নির্দেশনার আলোকে এলাকার জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে করোনাবিষয়ক সচেতনতামূলক মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছেন। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক ব্যক্তি উদ্যোগে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকারীদের করোনা সচেতনতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলে তদারকিও জারি রেখেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে এলাকায় এলাকায় মাইকিং ও জীবানুনাশক স্প্রেও করছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে জনসমাগম এড়ানোর জন্য কয়েকটি বড় বাজার খোলা মাঠে স্থানান্তর করেছেন। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়া উপজেলার সব সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রেখেছেন। অন্য দিকে গ্রাম পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। মির্জাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আট পরিবারসহ লকডাউনে থাকা ২৪০ পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনে থাকা এসব পরিবারের নিয়মিত খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় সরকারিভাবে ১৪ হাজার ৩০০ কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি উদ্যোগে আরো প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মহামারি করোনা যুদ্ধেও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের নির্দেশে থানা পুলিশও কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া বলেন, করোনকে উপেক্ষা করে যেভাবে প্রশাসনের চার কর্মকর্তা যেভাবে মাঠে সক্রিয় তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলাবাসীকে সচেতন রাখতে কাজ করে চলেছে। মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, সম্প্রতি মির্জাপুরে যোগদান করেছি। যোগদানের পরই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করতে হচ্ছে। মির্জাপুরবাসীকে বলব আপনারা যথাসম্ভব ঘরে থাকুন। সরকারি সব আইন মানুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেন, করোনাভাইরাস সারা দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় উপজেলাবাসীকে সচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের ভূমিকার পাশাপাশি উপজেলাবাসীর ভূমিকাও অনেক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় কর্মহীনদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে সহায়তাকারীদেরও উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। সুত্র : বিডি২৪লাইভ এন এ/ ০৮ মে
https://ift.tt/2zmmwyB
0 Comments