পলাতক বাকি খুনিদের রায়ও কার্যকর করার আশা আ.লীগের

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ১২ এপ্রিল - জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারকে হত্যায় সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়াকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, এই ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে ইতিহাস আজ প্রমাণ করেছে সত্য চিরন্তন। একইসঙ্গে এখনো যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলেও আশাবাদী তরা। শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয় মাজেদের। এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা এমন আশাবাদের কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেন, সরকারকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন যে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনির মধ্যে একজনকে অবশেষে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তাকে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হলো। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথমত আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা তাকে গ্রেফতার করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। আজকে যারা এই ফাঁসির রায় কার্যকর করলেন এবং এই সামগ্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে জড়িত তার আজকে এই ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে একটা বড় উপহার আমরা পেলাম। দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ রকম একজন খুনি, যে শিশু-নারী থেকে শুরু করে একটি রাষ্ট্রের জন্মদাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছে, তার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত খুশি। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর খুনি বাকি যারা পলাতক তাদের একে একে গ্রেফতার করা হবে। তাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে আমাদের বাঙালি জাতির দায়মোচন হবে। এই পৃথিবীতে খুনিদের জায়গা কোথাও হবে না কোথাও তাদের রক্ষা নেই। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, এই ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে ইতিহাসের কিছুটা দায়মোচন হলো। মূলতঃ একটি গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ৭৫-উত্তরকালে সামরিক জান্তা জিয়া, এরশাদ ও মিসেস জিয়া ঘাতকদের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে তাদের অনূসৃত ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করে ঘাতকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দান ও নিরাপত্তা বিধান করেছেন। কিন্তু ইতিহাস আজ প্রমাণ করেছে, সত্য চির সুন্দর ও চিরন্তন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ এপ্রিল

Post a Comment

0 Comments