https://ift.tt/eA8V8J
নবজাতকের জন্মের পর তাকে মায়ের শালদুধ পান করানো খুব জরুরি। নবজাতককে নিরাপদ ও রোগমুক্ত রাখতে এই দুধ অবশ্যই পান করাতে হবে। সন্তান জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার দেয়ার প্রয়োজন নেই। এ সময় মায়ের দুধ শিশুর জন্য যথেষ্ঠ। তবে ছয় মাস পর থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। শালদুধ কি? প্রসবের ঠিক পরেই মেয়েদের স্তন বৃন্ত থেকে এক প্রকার হলদেটে ঘন দুধ নিঃসৃত হয়, যা শালদুধ বা কোলোস্ট্রাম নামে পরিচিত। প্রসবের পর মোট দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত এই দুধ নিঃসৃত হয়। এটি মায়েদের স্বাভাবিক বুকের দুধের চেয়ে অনেকটাই ঘন হয়। এই দুধ পান করা সদ্যজাতের জন্য খুবই উপকারী। শালদুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা ১. শালদুধে ফ্যাট ও শর্করার চেয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া গ্লাইকোপ্রোটিন, ইমিউনোগ্লোবিউলিন, ল্যাক্টোফেরিন, ল্যাক্টো অ্যালবুমিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কেসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক এবং সন্তান বিকাশে সহায়ক উপাদান থাকে। ২. মায়ের দুধে থাকা ল্যাক্টো অ্যালবুমিন টিউমার ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোলোস্ট্রামে থাকা সাইটোকাইনস টিউমার গঠনে বাধা সৃষ্টি করে। ৩. শালদুধে রয়েছে প্রোটিন সাইটোকাইনস, যা শিশুর শরীরে দেহের কোষ ও বুদ্ধির বিকাশে সহায়ক। আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব ৪. এই দুধ পানে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া মায়ের বুকের দুধ বিভিন্ন সংক্রমণ, অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে। ৫. শিশুর শরীর, ত্বক, পেশি, হাড়, কার্টিলেজ, স্নায়ু পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই দুধ। দেহের সার্বিক গঠনেও সহায়তা করে কোলোস্ট্রাম। ৬. এই দুধ শিশুকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাকশন জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কথা বলেছে। ৭. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে মায়ের দুধ। যেসব শিশুকে টানা ছয় মাস মায়ের দুধ পান করানো হয়, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। লেখক: ডা. বেদৌরা শারমিন, গাইনি কনসালট্যান্ট সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।
https://ift.tt/3cXUgSx
0 Comments