https://ift.tt/eA8V8J
লক্ষ্ণৌ, ০৩ অক্টোবর- হাথরস গণধর্ষণ-কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। এবার কড়া পদক্ষেপ নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাসপেন্ড করা হল এসপি, ডিএসপি সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিককে। ১৯ বছরের দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় এই কড়া পদক্ষেও নেওয়া হয়েছে। এসপি, ডিএসপি ছাড়াও স্টেশন ইন্সপেক্টর ও আরও দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এদিন। যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে এসপি বিক্রান্ত বীর, ডিএসপি রাম শব্দ, ইন্সপেক্টর দীনেশ বর্মা, সাব-ইন্সপেক্টর জগবীর সিং, হেড কনস্টেবল মহেশ পাল। বিনীত জয়সওয়াল শামলির এসপি ছিলেন। তাঁকেই এবার হাথরসের দায়িত্ব দেওয়া হল। আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী করোনায় ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে হাথরাসের জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তাঁকে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। যদিও আপাতত তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে জেলাশাসককে বলতে শোনা যাচ্ছে, অর্ধেক মিডিয়া চলে গিয়েছে, বাকি মিডিয়াও কাল চলে যাবে। শুধু আমরাই থাকব। আপনি আপনার বিবৃতি বদলাবেন কিনা, সেটা আপনার ব্যাপার। শুক্রবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের হাথরস। এদিন সকালে হাথরসে আটকানো হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। এরপর একের পর এক ভিডিওতে দেখা যায় সংবাদমাধ্যমকেও ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে সামনে আসা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তায় বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির রয়েছে পুলিশ । এরপর অন্য একটি শর্টকার্ট রাস্তা থেকে এক মহিলা সাংবাদিক ও তাঁর ক্যামেরা প্রতিনিধি নির্যাতিতার বাড়ির দিকে যেতে গেলে তাঁকেও আটকানো হয়। টিভি চ্যানেলের ওই সংবাদ প্রতিনিধির দাবি শুক্রবার সকাল থেকে তিনি বারবার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। কোন লিখিত অর্ডারের জেরে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে গ্রামের ভেতরে ঢুকে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অধিকার থেকে আটকাচ্ছে তা জানতে চেয়েও সদুত্তর পাননি ওই মহিলা সাংবাদিক। সূত্র : কলকাতা২৪ এন এইচ, ০৩ অক্টোবর
https://ift.tt/34nfaqc
0 Comments