কনডেম সেলের ভিতরকান্নায় ভেঙে পড়েনমিন্নি

https://ift.tt/eA8V8J
বরগুনা, ০২ অক্টোবর- বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাক্ষী থেকে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেল থেকে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের মুঠোফোনে কল দিয়ে অঝোরে কাঁদলেন। গতকাল সকালে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে পিতা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও করোনা মহামারীর হাত থেকে বাঁচতে বরগুনা জেলা কারাগারে দেখা করার পরিবর্তে সপ্তাহে একবার ৫ মিনিট করে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চালু করা হয়েছে। মিন্নি প্রথম দিনেই তার বাবার সঙ্গে ৫ মিনিট কথা বলেছেন। এ সময় তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তবে বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, সকাল ১০টার দিকে মিন্নি (আয়েশা সিদ্দিকা) আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। সে খুব কান্নাকাটি করেছে। কারাগারে ভালো নেই মিন্নি। তাকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলকে আড়াল করার জন্যই এটা করা হয়েছে। আমি রায়ের কপি পাওয়ার আবেদন করেছি। এটি হাতে পেলে দ্রুত উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। আমি আশাবাদী আমার মেয়ে উচ্চ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবে। আরও পড়ুন:যে কারণে মিন্নির মৃত্যুদণ্ড কারাগারে মিন্নিই একমাত্র নারী : আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিই বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলের একমাত্র নারী আসামি। এ ছাড়াও ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া অন্য পুরুষ আসামিদেরকেও পুরুষ ওয়ার্ডের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দীকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারে নারী বন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। মিন্নি ব্যতীত বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে অন্য কোনো নারী বন্দী নেই। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন আডি/ ০২ অক্টোবর
https://ift.tt/2Smd4kI

Post a Comment

0 Comments