https://ift.tt/eA8V8J
কুমিল্লা, ২৮ সেপ্টেম্বর- কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক গৃহবধূকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তার ওপর এই নির্যাতন করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। নির্যাতিত মুক্তা আক্তার (২৪) নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক শেখ ফরিদের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে ওই গৃহবধূর মা নুরুন নাহারের মোবাইল ফোনে কল করে শেখ ফরিদের বাবা বলেন, মুক্তা মারা গেছে। এ খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে মুক্তার মা ও তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে শ্বশুরবাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। তখন মুক্তা বৃষ্টিতে ভিজছিলেন। পরে তারা মুক্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলেই নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ওই গৃহবধূর মা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখ ফরিদ ও মুক্তার বিয়ে হয় ছয় বছর আগে। বিয়ের সময় মুক্তার মা ঋণ করে জামাতাকে এক লাখ টাকা যৌতুক দেন। মুক্তার স্বামী আরও টাকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে। কিছুদিন আগে সিজারিয়ান অপারেশনে মুক্তা সন্তান প্রসব করেন। শুক্রবার তার অপারেশনের সেলাইয়ের স্থানে ব্যথা অনুভব করলে স্বামীকে ওষুধ এনে দিতে বলেন মুক্তা। এ নিয়ে শনিবার সকালে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে নির্যাতন শুরু করলে মুক্তা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে মুক্তাকে বাড়ির উঠানে বৃষ্টির মধ্যে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে শ্বশুর, শাশুড়িসহ অন্যরা মিলে নির্যাতন করে। আরও পড়ুন: দেবীদ্বারে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে শেখ ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। গতকাল বিকেলে নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে জানতে পারে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : সমকাল এম এন / ২৮ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/2HyLdf7
0 Comments