এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: জড়িতদের শাস্তি চায় ছাত্রলীগ

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর- সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কর্তৃক বিবাহিত তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার যথাযথ বিচার চেয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। পাশাপাশি অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের কর্মী না বলেও জানিয়েছেন জয়। জয় বলেন, সিলেটের তারা তো ছাত্রলীগের কোনো পদধারী নেতাকর্মী না। ওই কলেজে কমিটি নেই ১২ বছর। আমরা ধর্ষকের বিচার চাই। যারা অভিযুক্ত তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার। আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছেও তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। এ ঘটনায় ছাত্রাবাসের দুই নিরাপত্তা কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা দুজন হলেন, রাসেল মিয়া ও সবুজ আহমেদ। পাশাপাশি গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও পড়ুন: মানুষের কল্যাণে দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন শেখ হাসিনা মামলার আসামীদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন: এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, শাহ রনি, অর্জুন, মাহফুজ, রবিউল ও তারেক। তারা সবাই সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। হোটেল বন্ধের পরেও কীভাবে কিছু শিক্ষার্থী হলে থেকে গেলেন তা সামনে আসতেই প্রশ্ন ওঠে কলেজ প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে। তারা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু এখনই না বললেও শ্রীকান্ত ছাত্রাবাসের সুপার ও পলিটিক্যাল সায়েন্সের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য গণমাধ্যমকে বলেছেন, আসলে হোস্টেল বন্ধ থাকলে আনঅফিসিয়ালি কিছু ছাত্র হোস্টেলে রয়ে গেছে। যারা টিউশনি করে এমন ছাত্ররা ছিল। তবে অভিযুক্তরা আমাদের কলেজের ছাত্র কি-না সেটা যাচাই-বাছাই করে জানাতে পারব। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম জানান- রাত ৯টার দিকে তিন-চারজন মিলে এমসি কলেজ গেট থেকে ওই তরুণীকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তার স্বামী বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করে তারা। পরে তাকে বালুচরস্থ কলেজ হোস্টেলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্তদের। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চায়। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান এবং ওই নারীকে গণধর্ষণ করে। এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০-টি মডেলের একটি গাড়িও ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল এন এইচ, ২৭ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/2S0nPZR

Post a Comment

0 Comments