যে সাত শ্রেণীর লোক আরশের ছায়া পাবেন

https://ift.tt/eA8V8J
আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের কঠিন সময়ে সাত শ্রেণীর লোককে মহান আরশের ছায়া দিয়ে ধন্য করবেন। যে দিন মহান আরশের রহমতের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। তামার জমিনের উপর অবস্থান রত মানুষের ঠিক মাথার উপরে থাকবে সূর্য। সেদিন দুনিয়ার সাত শ্রেণীর আবেদ তথা আমল-ইবাদতকারী মহান আল্লাহ আরশের ছায়া দেবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে তাঁর আরশের ছায়া দান করবেন। যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতিত আর কোনো ছায়া থাকবে না। তাঁরা হলেন- ইমামুন আদেলুন, ন্যায়পরায়ণ শাসক। ওই যুবক, যার যৌবন আল্লাহর ইবাদাতে অতিবাহিত করে। ওই (নামাজি) ব্যক্তি, যার অন্তর মসজিদের সাথে ঝুলন্ত থাকে। ওই ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার চোখ থেকে (আল্লাহর ভয়ে) পানি ঝরে। সেই দুই ব্যক্তি, যারা একে অপরকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালোবাসে। ওই ব্যক্তি, যাকে কোনো প্রভাবশালী সুন্দরী নারী (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, আর সে তখন বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। ওই ব্যক্তি, যে নিজের দানকে এমনভাবে গোপন করে যে, তার বাঁ হাত জানে না ডান হাত কী দান করল অর্থাৎ গোপনে দানকারী ব্যক্তি। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, মুয়াত্তা মালেক, তিরমিজি, নাসাঈ) সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত উল্লেখিত সাত শ্রেণীর লোকের গুণ অর্জন করা। কেয়ামতের কঠিন ভয়াবহতার সময় আল্লাহর আরশের রহমতের ছায়া লাভ করা। আরও পড়ুন-সব অবস্থায় কি জিকির করা যাবে? এ সাতটি কাজ শুধু পরকালের ভয়াবহতার সময় উপকারি এমন নয়, এ কাজগুলো দুনিয়াতে করলেও এর আমলকারীর জন্য রয়েছে অফুরন্ত নেয়ামত, সম্মান ও শান্তি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার শান্তি, সম্মান ও মর্যাদা লাভের পাশাপাশি কেয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের রহমতের ছায়া লাভে এ দায়িত্ব ও আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন। আডি/ ০৭সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/3lYLibB

Post a Comment

0 Comments