খাগড়াছড়িকে বদলে দিতে পারে কমিউনিটি ট্যুরিজম

https://ift.tt/eA8V8J
খাগড়াছড়ি, ৩০ সেপ্টেম্বর- পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে কমিউনিটি ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বর্ণিল সংস্কৃতি কাজে লাগিয়ে পর্যটন খাতের উন্নয়ন করলে সুফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে জেলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। এ বিষয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য জেলা পরিষদকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও ভ্রমণপিপাসুদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের বর্ণিল সংস্কৃতি ও আচার-রীতির প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আগ্রহ দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। খাগড়াছড়ির ঝরনাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এখনও তা চালু হয়নি। এ কারণে পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। একইভাবে স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন সম্ভাবনা পিছিয়ে পড়ছে। খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটআলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সৈকত রহমান, শামীমুর রহমান খান ও নন্দিতা চৌধুরী সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের মন্তব্য, কমিউনিটি ট্যুরিজমের উন্নয়ন হলে জেলায় পর্যটক সমাগম বাড়তে পারে। খাগড়াছড়ি বেড়াতে এসে স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীর জীবন-সংস্কৃতি সম্পর্কে না জানা হলে একটা অতৃপ্তি থেকে যায়। জেলায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী অনেক পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার কমিউনিটি ভিত্তিক ট্যুরিজমের উন্নয়ন করলে পর্যটকরা এসে বিভিন্ন কমিউনিটিতে অবস্থান করবে, স্থানীয় অধিবাসীদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, পরিবেশ-প্রতিবেশ সম্পর্কে জানবে এবং নিজেদের সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি স্থানীয়রা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটখাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম একই অভিমত ব্যক্ত করলেন, দেশ-বিদেশ থেকে যারা খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসেন, তারা কমিউনিটি ট্যুরিজম প্রত্যাশা করে। ফলে কমিউনিটি ট্যুরিজমের বিকাশ হলে পর্যটক উপস্থিতি বাড়বে। আর পর্যটক যত বেশি আসবে, পর্যটন তত বেশি এগোবে। খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটএদিকে পাহাড়ি পর্যটনের উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতাকে দুষছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ক্ষোভ নিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ২০১৪ সালে স্থানীয় পর্যটনের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এই খাতে কোনও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জেলা পরিষদকে মূল্যায়ন না করায় খাগড়াছড়িতে পর্যটনের উন্নয়ন হয়নি। খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যযদিও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আশার কথা শুনিয়েছেন, পর্যটন নিয়ে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা আছে। কিছুদিন আগেও জেলার বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনকে নিয়ে ভার্চুয়াল সভা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এতে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী অংশ নেন। সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জেলায় ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে ট্যুরিজম স্পটগুলোর ওপর জরিপ চালানো হবে। তারপর বিভিন্ন স্থাপনাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আরও পড়ুন-পর্যটন শিল্প বিকাশে সংশোধন হচ্ছে আইন কমিউনিটি ভিত্তিক ট্যুরিজম চালুর বিষয়টিও সরকারের ভাবনায় আছে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। তার আশ্বাস, পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জীবন-মান উন্নয়নে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হবে। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন আডি/ ৩০ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/33eCk2L

Post a Comment

0 Comments