যেভাবে বিদেশিরা পান বাংলাদেশের ভিসা

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর- প্রতিটি দেশের মতো বাংলাদেশে আসতে চাইলে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা নিতে হয়। ভিসার মাধ্যমে একটি সরকার কোনও বিদেশি নাগরিককে দেশে ঢোকার অনুমতি দেয় এবং এই ভিসা বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়। বাংলাদেশ মোট ৩০টি ক্যাটাগরিতে ভিসা দিয়ে থাকে। এরমধ্যে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান, মন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তিরা এ ক্যাটাগরির ভিসা পান। সরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা পান এ১ এবং জাতিসংঘ বা এর কোনও সংস্থা, আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সংস্থার কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় এ২ ক্যাটাগরির ভিসা। আবার এ২ ভিসাপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরা যদি বাংলাদেশে আসতে চায় তবে তাদেরকে দেওয়া হয় এফএ২ ভিসা। উন্নয়ন সংস্থা যেমন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের এ৩ ভিসা দেওয়া হলেও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হয় ই ক্যাটাগরির ভিসা। এই বিশেষজ্ঞরা সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে। ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয় বি ভিসা কিন্তু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয় পিআই ভিসা। ছাত্রদের দেওয়া হয় এস ভিসা, সাংবাদিকদের জে ভিসা, খেলোয়াড়দের দেওয়া হয় পি ভিসা এবং কূটনীতিকদের দেওয়া হয় ডি ভিসা। আবার কূটনীতিকদের বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে তাদের দেওয়া হয় ডিএ ভিসা। সাধারণ পর্যটকদের টি ভিসা দেওয়া হলেও তাবলিগ বা অন্যান্য ধর্মের মানুষ যারা ধর্মীয় পর্যটনে বাংলাদেশে আসেন তাদেরকে দেওয়া হয় এম ভিসা। বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত যেকোনও প্রতিষ্ঠানে গবেষণা, ইন্টার্নশিপ বা প্রশিক্ষণের জন্য আগমনকারী বিদেশিদের দেওয়া হয় আর ভিসা। আবেদন করলেই কি ভিসা পাওয়া যায়? এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিসা একটি সুবিধা (প্রিভিলেজ) এবং এটি কোনও অধিকার নয়। যেকোনও বিদেশিকে সরকার ভিসা নাও দিতে পারে। ভিসা না দিলে কেন দেওয়া হয়নি সে ব্যাখ্যা দিতেও সরকার বাধ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে ভিসা আবেদনকারীকে বলা হয় ওই কাগজ জমা দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আবার অনেক সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিককে কম ভিসা দেওয়ার নীতিও নেওয়া হয়। ইসরায়েলে জন্মগ্রহণ করেছে কিন্তু বর্তমানে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনপত্র ঢাকায় বিবেচনা করা হয় বলে তিনি জানান। আরও পড়ুন- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আ.লীগ নেত্রী বহিষ্কার ভিসা পেলেই বাংলাদেশে ঢোকা যায়? মোটেই না। ভিসা পাওয়ার পরেও বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিদেশি নাগরিককে বের হবার অনুমতি নাও দিতে পারে এবং পরবর্তী সুবিধাজনক ফ্লাইটে ফেরত পাঠাতে পারে। এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সার্ক ভিসা চালু আছে। যাদের সার্ক ভিসা দেওয়া হয় তাদের এই ৮টি দেশে ভ্রমণ করার সময়ে ভ্রমনকারী দেশের কাছ থেকে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তিনি বলেন, একবার বিমানবন্দর থেকে আমাদেরকে জানানো হলো পাকিস্তান থেকে একজন সংগীত শিল্পী সার্ক ভিসা নিয়ে ঢাকায় এসেছে। তাকে যখন ভ্রমণের উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তখন জানায় সে তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। তাকে পরের ফ্লাইটেই আবার পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমএ/ ০৩ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/3jHatO9

Post a Comment

0 Comments