https://ift.tt/eA8V8J
অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু এক বৃদ্ধ দরিদ্র মহিলার কাছ থেকে চার আনা পয়সাপ্রাপ্তির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল চুয়ান্ন সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময়। সে সময়ে তিনি গ্রাম-বাংলার মাঠ-ঘাট হেঁটে চষে বেড়াতেন। কখনও বা সাইকেল চেপে আবার কখনও হেঁটেই তাকে প্রচার-প্রচারণার কাজটি চালাতে হতো। কারণ দলীয় সভাপতি মওলানা ভাসানী বা তার নিজের কারও কাছেই কোনো যান্ত্রিক যানবাহন ছিল না। অন্যদিকে পাকিস্তানের মসনদে থাকা বিরোধী শক্তি মুসলিম লীগের প্রার্থীরা নদীতে স্পিডবোট এবং ডাঙায় জিপ গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতেন। এ অবস্থায় দলীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেই নির্বাচনে সেদিনের শেখ মুজিবুর রহমানকে যে কতটা কঠিন সংগ্রাম ও পরিশ্রম করতে হয়েছিল, কতটা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, বর্তমান প্রজন্ম তা কল্পনাও করতে পারবে না। আর তারা সেদিনের সেই চার আনা পয়সার গুরুত্বও বুঝে উঠবে না! কারণ তিন প্রজন্ম আগেকার ঘটনা বর্তমানের সঙ্গে মেলানো কঠিন। সে সময়ে চার আনা পয়সাতেই এক সের চাল কিনতে পাওয়া যেত! আর এক দরিদ্র বৃদ্ধ মহিলা সেদিন নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য বঙ্গবন্ধুর হাতে সেই চার আনা পয়সা তুলে দিতে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন! লেখাটির শেষাংশে সেই ঘটনাটির আরও কিছু অংশ তুলে ধরার আগে বর্তমান অবস্থার কিছু কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বর্তমান অবস্থায় আওয়ামী লীগ পরপর একনাগাড়ে তিন দফায় ক্ষমতাসীন। ফলে দলের একশ্রেণির নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সেই ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা ভুলতে বসেছেন। ভুলতে বসেছেন তার আদর্শ। বর্তমান অবস্থায় ওই শ্রেণির নেতাদের চিন্তাভাবনা হল আওয়ামী লীগের একটি পদ-পদবিতে থাকা এবং নির্বাচনে নমিনেশন মানেই সোনার হরিণ হাতে পাওয়া! যেহেতু বর্তমানে বিরোধী দল বা শক্তি দুর্বল এবং কোনো নির্বাচনেই তারা পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারছেন না, অতএব দলীয় নমিনেশন পাওয়া মানেই নির্বাচিত হওয়া। আর নির্বাচিত হওয়া মানেই স্বার্থসিদ্ধির দরজাগুলো খুলে যাওয়া। কারণ অতি সম্প্রতি করোনাকালীন ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রেও তেমনটি দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয়ার পর একশ্রেণির নেতা তা আত্মসাৎ করেছেন, ন্যায্যমূল্যের চালের কার্ড নিজেদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিতরণ করেছেন! এ কারণে দলীয় হাইকমান্ড সরকারি আমলা-কর্মকর্তা ব্যবহার করে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হয়েছে। আবার একশ্রেণির ওষুধ ব্যবসায়ীর পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমেও শত শত কোটি টাকা লোপাটে সাহায্য করা হয়েছে, ব্যাংকের ওপর প্রভাব বিস্তার করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করা হয়েছে। কথাটি এখানে উল্লেখ করার কারণ, যে দলের নেতারা অপকর্মগুলো করেছেন সেই দলের প্রধান নেতা হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাড়ি থেকে তার পিতার শস্যভাণ্ডারের ধান-চাল নিয়ে দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। অথচ সেই দলের অধিকাংশ নেতাই আজ এত বছর পরও তার সে আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে পারেননি; বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের বিশালত্বের সন্ধান পাননি। কারণ তারা দলীয় আদর্শ বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন না। অনেকেই হয়তো বলবেন, এই শ্রেণির নেতা যারা, তারা দলে অনুপ্রবেশকারী বা নতুনভাবে অংশগ্রহণকারী। কিন্তু না, এ কথাটি সম্পূর্ণ একদেশদর্শী। বরং দেখা গেছে, বিশ-পঞ্চাশ বছরের পুরনো নেতা, যারা দলীয় স্লোগানে মুখে ফেনা তোলেন, তারাও বিভিন্ন স্থানে বসে এসব অপকর্মে জড়িত ছিলেন এবং এখনও আছেন। আর নতুনভাবে বা সদ্য যোগদানকারী, যাদের অনুপ্রবেশকারী বলা হয়, তারা যেসব অপকর্ম করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বাগিয়ে নিয়েছেন, পুরনোদের ব্যবহার করেই তারা তা করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে সেসবের প্রামাণ্যচিত্রও আমরা দেখেছি। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের অপকর্মের ক্ষেত্রে যেসব কথা বলে তা পাশ কাটিয়ে এক ধরনের আত্মতৃপ্তির চেষ্টা করা হয়, সেসব মানসিকতার অবসান ঘটিয়ে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করি। আর এসব কথা বলায় কেউ ভুল বুঝবেন না বলেও আশা করি। কাউকে কোনোভাবে দুঃখ দেয়া বা কাউকে আঘাত করার জন্য কথাগুলো বলা হয়নি। বরং আমরা যারা বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত দল করি বা দলটিকে সমর্থন করি, তারা যাতে সম্যকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করি, সেজন্যই কথাগুলো বলতে বাধ্য হলাম। কারণ বর্তমান অবস্থায় দলটিতে নিজেদের আখের গোছানোর লোকের সংখ্যাই বেশি। যে যার মতো আখের গুছিয়ে চলেছেন। আর এসব নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনারও শেষ নেই। অথচ দলীয় হাইকমান্ড এসব কানে তুলতে চাচ্ছে না বলে এসব কথা সরকারবিরোধী শক্তি বা শত্রুদের অপপ্রচার বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু জনান্তিকে আবারও বলে রাখছি, বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম থেকে যেসব কথা জানা বা শোনা যাচ্ছে; ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ নানা দেশে সম্পদ গড়ার যেসব কথা বলা হচ্ছে, তার সবটুকু মিথ্যা বলে মনে করা ঠিক হবে না। কারণ আগেই বলা হয়েছে, দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেন না। ফলে যে কোনো আপদ-বিপদে তাদের পাশে পাওয়া যায় না। অতীতে এর প্রমাণও হাতেনাতে পাওয়া গেছে। এই শ্রেণির নেতারা দলীয় আদর্শ অপেক্ষা অর্থ-সম্পদকে বেশি ভালোবাসেন বলে দলীয় সংকটের সময় তারা ধনসম্পদ নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন। এ বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে আমার দেখা একটি ঘটনার উল্লেখ করলেই পরিষ্কার একটি চিত্র পাওয়া যাবে। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ। আমি তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক। দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তখনও জেলে বন্দি। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমানের বাসভবনে সভাপতিমণ্ডলীর সভা চলাকালে আমি, ডা. দীপু মনি এবং আক্তার ভাই ড্রইং রুমে বসে আছি। পাশের একটি বড় হলরুমে মিটিং চলছে। আমরা তিনজনের কেউ সে সভার সদস্য না হওয়ায় তা দেখা বা শোনা আমাদের জন্য অনুচিত বিবেচনায় ডা. দীপু মনি স্বগতোক্তি করে আড়ালে থাকার চেষ্টা করলেন। কারণ মিটিং স্থানের একপাশ খোলা ছিল। অতঃপর মিটিং শেষে সভাপতি সাহেব ড্রইং রুমে এসে বসলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ তার কাছে এগিয়ে এলেন এবং সেই সঙ্গে অন্যরাও। এ অবস্থায় বিদায়ের মুহূর্তে আশরাফ ভাই বললেন, এবার পনেরো আগস্ট পালনের জন্য আমার কাছে কোনো টাকা নেই। তার এ কথা শোনার পর একে একে সবাই বিদায় হয়ে গেলেন! সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার পিঠ চাপড়ে বলে গেলেন, তোমার লেখা পড়ি, লিখে যাও। সবশেষে আশরাফ ভাইও চলে গেলে আক্তার ভাইসহ আমরা রয়ে গেলাম এবং অতি সাধারণ একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু টাকাপ্রাপ্তির ওয়াদা পেয়ে সভাপতি সাহেব ভেতরে চলে গেলে আমরাও চলে এলাম। আর পরদিন সেই টাকা নিয়ে তা ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হাতে দিলে তিনি রঞ্জন নামে তার এক কর্মচারীকে দিয়ে আশরাফ ভাইকে ফোন লাগিয়ে তাকে এসে টাকাটা নিয়ে যেতে বললেন। এ ঘটনার সময়ও আক্তার ভাই উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আমার জীবনে এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। কারণ মিটিং শুরুর আগে ড্রইং রুমে বসে অংশগ্রহণকারীদের একজন প্রসঙ্গক্রমে বলেছিলেন, জীবনে তিনি ২৭ বার হজ ও ওমরাহ পালন করেছেন। অথচ সেদিন তিনি অল্পকিছু টাকা দিয়েও সহযোগিতা করেননি। কারণ সেদিন তিনি বা তারা কেউ নিশ্চিত ছিলেন না যে, অচিরেই বঙ্গবন্ধুকন্যা ছাড়া পাবেন এবং দল ক্ষমতায় যাবে। অথচ তারা সবাই একেকজন পুরনো আওয়ামী লীগার! সেদিনের সেই ঘটনাটির কথা মনে এলে ওইসব নেতার চেহারা আমার মানসপটে ভেসে ওঠার পাশাপাশি এ কথা ভেবে বিহ্বল হয়ে পড়ি যে, ভবিষ্যতে আবার কোনো দৈব-দুর্বিপাকের সময় তারা তো একই আচরণ করবেন! আর এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বলার জন্য মাঝে একবার মনস্থির করে প্রায় দশ বছর আগে তার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার পেলেও সেদিন তার সামনে অন্য একজন উপস্থিত থাকায় তা বলে উঠতে পারিনি। এরপর বছরের পর বছর ঘুরে তার সাক্ষাৎকার না পেয়ে সে আগ্রহটুকুও হারিয়ে ফেলেছি। এমনকি সাক্ষাতের দিন ও সময় দিয়ে আমাকে যেতে বলায় আমি গণভবনের গেটে গিয়ে দেখি, আমার নামে পাস দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় আমি ফোন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি আমাকে অপেক্ষা করতে বললেও পরে পাস তো পাঠানইনি, অতঃপর আমার ফোনও ধরেননি। অথচ এমন একটি ঘটনা বঙ্গবন্ধুকন্যার জানা উচিত বলেই মনে করি। উপরের ঘটনাবলিসহ আমার জীবনে বিভিন্ন ঘটনা দেখে-শুনে-বুঝে এই পরিণত বয়সে জোর দিয়ে বলতে চাই, সবসময় সব পুরনো দলীয় নেতাই কিন্তু দলের জন্য শুভকর নয়! কারণ, স্বাধীনতার পর যুবনেতা হিসেবে যাদের অপকর্ম করতে দেখেছি, বতর্মান সময়ে সেসব অনেক বৃদ্ধ নেতাকেও অপকর্মে লিপ্ত হতে দেখতে পাচ্ছি! সে সময়ে তারা যেমন বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করেছিলেন, তেমনি তাদের কেউ কেউ এখনও চরিত্র পাল্টাতে না পারায় বতর্মান সরকারের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সুতরাং পুরনো মানেই পরীক্ষিত খাঁটি সোনা নয়। যদি তাই হতো, তাহলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ দেশ ও জাতির এতবড় ক্ষতি করত না। অতএব সঠিক বিচার-বিশ্লেষণে দেখা যাবে, পুরনোদেরই কেউ আস্তিনের সাপ হয়ে লুকিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ একটি পুরনো রাজনৈতিক দল। এখানে পুরনোদের প্রাধান্য থাকবে। কিন্তু দলটিকে একটি প্রবহমান নদী হিসেবে বিবেচনায় এনে সেটিকে নতুন মেধা-মনন দিয়েও সাজাতে হবে। দলে কোনো জ্ঞানী, গুণী, মেধাবী ব্যক্তি দেখলেই বস্তাপচা লোকগুলো আতঙ্কিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তার কারণও দলীয় হাইকমান্ডকেই খুঁজে বের করতে হবে। আর প্রতিটি জেলা থেকেই মেধাবী, সৎ, ত্যাগী ও সাহসী নতুন মুখ খুঁজে দলে জায়গা করে দিতে হবে। তবেই দল গতিশীল হবে। এ বিষয়ে উদাহরণস্বরূপ মুসলিম লীগের কথা বলা যায়। ওই দলটিতে নতুন কেউ না যাওয়ায় বা দলটি নতুন কাউকে না পাওয়ায় বস্তাপচা লোক দিয়ে দল রক্ষা করা যায়নি। অথচ এ দলটিই কিন্তু স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সারা ভারতের মুসলিমদের হয়ে লড়াই করেছিল। আবার বতর্মান ভারতের কংগ্রেসের কথাও এক্ষেত্রে খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক হবে বলে মনে হয় না। অতএব সাধু সাবধান! পরিশেষে, বঙ্গবন্ধুর চার আনা পয়সাপ্রাপ্তির ইতিহাসটুকু সংক্ষেপে বলেই লেখাটি শেষ করতে চাই এবং বঙ্গবন্ধুর নিজ বয়ানেই তা বলতে চাই : আমার মনে আছে খুবই গরিব এক বৃদ্ধ মহিলা কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, শুনেছে এই পথে আমি যাব, আমাকে দেখে আমার হাত ধরে বলল, বাবা আমার এ কুঁড়েঘরে তোমায় একটু বসতে হবে। আমি তার হাত ধরেই তার বাড়িতে যাই। অনেক লোক আমার সঙ্গে, আমাকে মাটিতে একটা পাটি বিছিয়ে বসতে দিয়ে এক বাটি দুধ, একটা পান ও চার আনা পয়সা এনে আমার সামনে ধরে বলল, খাও বাবা আর পয়সা কয়টা তুমি নেও, আমার তো কিছুই নেই। আরও পড়ুন- সাইফুর রহমানকে নিয়ে কিছু কথা আমার চোখে পানি এল। আমি দুধ একটু মুখে নিয়ে, সেই পয়সার সঙ্গে আরও কিছু টাকা তার হাতে দিয়ে বললাম, তোমার দোয়া আমার জন্য যথেষ্ট, তোমার দোয়ার মূল্য টাকা দিয়ে শোধ করা যায় না। টাকা সে নিল না, আমার মাথায় মুখে হাত দিয়ে বলল, গরিবের দোয়া তোমার জন্য আছে বাবা। নীরবে আমার চক্ষু দিয়ে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়েছিল, যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। সেই দিনই আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মানুষেরে ধোঁকা আমি দিতে পারব না। সুধী পাঠক, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি তার জবানিতে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন। আর জীবনে আমি যত বইপুস্তক পাঠ করেছি তাতে আমার মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী একটি অসাধারণ গ্রন্থ। এ বইটি সবারই পড়া উচিত। সেই সঙ্গে এ কথাটিও বলতে চাই যে, জরুরি ভিত্তিতে স্কুলের পাঠ্যসূচিতেও বইটি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। লেখক: ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট আডি/ ০৮ সেপ্টেম্বর
https://ift.tt/2ZfRnqy
0 Comments