https://ift.tt/eA8V8J
মেহেরপুর, ০৫ আগস্ট - মেহেরপুর মুজিবনগরের বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাদিয়া আক্তার, দুজন নার্সসহ জেলার ২৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১৭। আর সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন। তবে নমুনা প্রদানের এক সপ্তাহ পরে রিপোর্ট আসায় আক্রান্ত অনেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন অবাধে। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেরিতে আসায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ ভেবে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। এতে মেহেরপুর জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন জানান, ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৬৮টি নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে হাতে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে ২৮ জন। নতুন এ শনাক্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ জন, মুজিবনগরে ৪ জন ও গাংনী উপজেলায় ৯ জন। আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল এটিএন নিউজ কর্মকর্তাসহ দুই বন্ধুর মুজিবনগর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন ও তার স্ত্রী, মোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা মেহেরপুর সোনালী ব্যাংক কোর্ট বিল্ডিং শাখার এক নারী কর্মকর্তা ও আনন্দবাস গ্রামের এক নারী। গাংনী উপজেলায় আক্রান্ত ৯ জন হলেন- গাংনী হাসপাতালের আরএমও ডা. সাদিয়া আক্তার, নার্স আমেনা ও তার স্বামী গাড়াডোব গ্রামের আবু শামা, হাসপাতালের স্টোরকিপার দবির উদ্দীন, গাংনী র্যাব ক্যাম্পপাড়ার একজন চিকিৎসক, আমতৈল গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলুল হক ও তার স্ত্রী, চেংগাড়া গ্রামের একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং বামন্দীর ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক চপল। অপরদিকে সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে পূবালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা ও এক কর্মকর্তার স্ত্রী এবং শিশু কন্যা। সদর হাসপাতালের একজন নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সচালক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এককর্মী, ওয়াপদা মোড়ের এক চা দোকানি, বড় বাজারের ক্লথ স্টোরের এক ব্যক্তি এবং আরেকজন হোটেল বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী এবং তাঁতিপাড়ার একই পরিবারের তিনজন। এদিকে বেশ কিছুদিন আগে নমুনা দেওয়ায় অনেকে করোনাভাইরাস নেগেটিভ ভেবে স্বাভাবিক চলাফেরা করেছেন। গাংনীর আমতৈল গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বেশ কয়েকদিন ধরে অবাধে চলাফেরা করছেন। মসজিদে নামাজ আদায় থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে আড্ডা এবং স্বাভাবিক সব কাজকর্মই করেছেন তিনি। এছাড়াও আব্দুল মালেক চপল গেল দুই দিন ধরে বাইরে স্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বর সেরে যাওয়ার পরও নমুনা পরীক্ষার রির্পোট না আসায় স্বাস্থ্য বিভাগে এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন যে হয়তো আপনি নেগেটিভ। তাই গত দুই দিন ধরে আমি স্বাভাবিক চলাফেরা করেছি। শুধু ফজলুল হক কিংবা আব্দুল মালেকই নন নমুনা দেওয়াদের মধ্যে অনেকে গেল কয়েকদিন ধরে স্বাভাবিক চলাফেরা করেছেন। মিশেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে বিভিন্ন স্থানে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ আগস্ট
https://ift.tt/39YiUkv
0 Comments