https://ift.tt/eA8V8J
ভুল-ভ্রান্তি আর ভালোমন্দ নিয়ে মানুষের জীবন। কিন্তু এই ভুলের কারণে কারও প্রতি ক্রোধ, রাগ, জেদ-উত্তেজনা বা উগ্র হওয়া ভীষণ খারাপ একটি ব্যাপার। এ ব্যাপারগুলো মানুষকে ছোট করে এবং আমলনামা থেকে সওয়াব মুছে দেয়। অথচ বিপরীতে ক্ষমা মানুষের মান-সম্মান বৃদ্ধি করে। ক্ষমা মহৎ গুণ। আল্লাহ তাআলা মানুষকে আদেশ দিয়েছেন, যেন একে-অপরকে ক্ষমা করে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, যদি তোমরা ভালো কিছু প্রকাশ করো কিংবা গোপন করো অথবা মন্দ ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, ক্ষমতাবান। (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৯) ক্ষমাকারীকে আল্লাহতাআলা বিশেষভাবে পুরস্কার দেবেন। পরস্পরের মধ্যে বিরোধ মেটানোকারী আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর মন্দের প্রতিফল মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপস নিষ্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না। (সুরা শুরা, আয়াত: ৪০) আরও পড়ুনঃ আল্লাহর কাছে মুমিনের সবচেয়ে উত্তম আমল ক্ষমা করলে কারও মর্যাদা কমে না। বরং বহু গুণে ক্ষমাশীল ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮) উদারতা ও সহিষ্ণুতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। কোমলতা মুমিনের বিশেষ একটি গুণ। আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন সাহাবি মুয়াজ (রা.) ও মুসা (রা.) কে ইয়ামেনে প্রেরণ করেন ও আদেশ দেন, লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না, তাদের সুখবর দেবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না। (বুখারি, হাদিস: ৩০৩৮) এআর/১৫ আগস্ট
https://ift.tt/31SJd83
0 Comments