জুমার নামাজের অসামান্য গুরুত্ব

https://ift.tt/eA8V8J
জুমার নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি এমন এক নামাজ যা মহান আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি মুমিনদের পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। হজরত সাইদ ইবনে মুসায়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক আনসার সাহাবির মৃত্যু আসন্ন হলে তিনি বলেন, আমি তোমাদের কাছে কেবল সওয়াব লাভের আশায় একটি হাদিস বর্ণনা করব। আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে অজু করে সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন সে তার ডান পা ওঠাতেই আল্লাহ তার জন্য একটি সওয়াব লিখে দেন, এরপর বাঁ পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন। এখন তোমাদের ইচ্ছা হলে মসজিদের কাছে থাকবে অথবা দূরে। অতঃপর সে যখন মসজিদে গিয়ে জামাতে সালাত আদায় করে তখন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যদি জামাত শুরু হয়ে যাওয়ার পর মসজিদে উপস্থিত হয় এবং অবশিষ্ট সালাতে শামিল হয়ে ছুটে যাওয়া অংশ পূরণ করে তাহলে তাকেও অনুরূপ জামাতের পূর্ণ সালাত আদায়কারীর সমান সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে মসজিদে এসে জামাত সমাপ্ত দেখে একাকী সালাত আদায় করে নেয়, তবু তাকে ওইরূপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আবু দাউদ। হজরত আবু সুমামাহ আল হান্নাত বলেন, একদা মসজিদে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাব ইবনে উসরার (রা.) সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে আমার দুই হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে ঢুকিয়ে মটকাতে দেখতে পেয়ে আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন। তিনি আরও বললেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ উত্তমরূপে অজু করে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলে সে যেন তার দুই হাতের আঙ্গুল না মটকায়। কেননা সে তখন সালাতের মধ্যেই থাকে। অর্থাৎ অজু করা অবস্থায় তাকে সালাত আদায়কারী হিসেবেই গণ্য করা হয়। আরও পড়ুন- জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন যে ব্যক্তি গোসল করে এবং যথাসাধ্য উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের তেল ব্যবহার করে, কিংবা নিজের ঘর থেকে খুশবু ব্যবহার করে, এরপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয় এবং দুজনের মাঝে ফাঁক না করে তারপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা পাঠের সময় চুপ থাকে, তবে তার সেই জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। বুখারি। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো মুসলমান জুমার দিনে অথবা রাতে ইন্তেকাল করলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা, কবরের সওয়াল-জওয়াব ও আজাব থেকে রক্ষা করবেন। আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত। লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক। এমএ/ ২৮ আগস্ট
https://ift.tt/31yfJ0c

Post a Comment

0 Comments