https://ift.tt/eA8V8J
নয়াদিল্লি, ২৪ জুলাই- সব দিক থেকেই তৈরি ভারত। আলোচনার রাস্তা খোলা রেখে প্রস্তুতি সারছে নয়াদিল্লি। চিনের সঙ্গে যে কোনও সংঘাতের পথে যেতে তৈরি নয়াদিল্লি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত নিজেদের পরমাণু নীতির অভিমুখও বদল করেছে। পাকিস্তান নয়, এখন নয়াদিল্লির পরমাণুর নীতির মূল লক্ষ্য চিনকে ভয় দেখানো। রিপোর্ট বলছে ভারতের পরমাণু অস্ত্রগুলির রাডারে চলে এসেছে চিন। ২০১৭ সালের ডোকলাম পর্বের পর থেকেই এই রাডারের অভিমুখ বদল হয়েছে। ভুটান সীমান্তে সংঘাতের পর থেকেই চরম সতর্কতা জারি করা হয় সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার মধ্যে। পরমাণু বিশেষজ্ঞ হ্যানস এম ক্রিস্টেনসেন ও ম্যাট কোর্ডা একটি বুলেটিন প্রকাশ করেন চলতি বছরের ২০শে জুলাই। যেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। লেখকরা জানাচ্ছেন এতদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে নয়াদিল্লির পরমাণু নিশানার মূলে ছিল ইসলামাবাদ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শত্রু বদলেছে। এবার তালিকার নয়া সংযোজন চিন। ভারতের নতুন অগ্নি মিসাইলের যা রেঞ্জ, তা চিনকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা বলে মনে হচ্ছে। এই বুলেটিন জানাচ্ছে, পরবর্তী দশকে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ফলশ্রুতিই মিসাইলের অভিমুখ নির্ধারণ করবে। আরও পড়ুন :চীনপাকিস্তান সীমান্ত নজরদারিতে ভারতের নতুন ড্রোন এছাড়াও চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভিত তৈরি করবে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতার গভীরতা। ফলে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশই ভারতের কাছে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করেই এগোতে চাইছে ভারত। তাই আলোচনার রাস্তাও খোলা রেখেছে। ফলে দীর্ঘকাল ধরে যে নীতিতে চলছে নয়াদিল্লি, সেই রাস্তাতেই প্রথমে হাঁটতে চাইছে তাঁরা। দীর্ঘকাল ধরে ভারতের নীতি নো ফার্স্ট ইউজ পলিসি। অর্থাৎ প্রথমেই কোনও চরম পদক্ষেপ ভারত নেবে না। তবে কেউ আঘাত করলে, সেই উত্তর দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা রাখবে ভারত। সূত্র: কলকাতা২৪x৭ আর/০৮:১৪/২৪ জুলাই
https://ift.tt/39nnTuJ
0 Comments