https://ift.tt/eA8V8J
২৩ জুলাই শুরু হবে জিলহজ মাস। ১ আগস্ট হবে ঈদুল আজহা ও কুরবানি। যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য জিলহজের প্রথম ১০ দিনের রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও বিধি-নিষেধ। যা পালন করা সুন্নাত ও সাওয়াবের কাজ। ২১ জলাই মোতাবেক ২৯ জিলকদ মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে হজের মাস জিলহজের চাঁদ দেখা যায়নি। জিলকদ মাস ৩০ পূর্ণ হবে আজ। যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য এ কাজগুলো জিলকদ মাসের শেষ দিন সন্ধ্যার আগেই সম্পন্ন করতে হবে। যারা কুরবানি করবেন - জিলহজ মাস আসার আগেই হাত ও পায়ের নখ কেটে পরিষ্কার করা। - চুল, গোফ ও নাভির নিচের পশম কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা। কেননা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানি সম্পাদনের আগে পর্যন্ত নখ, চুল ও মোচ ইত্যাদি না কাটা সন্নাত। হাদিস এসেছে- - হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাবে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন চুল নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, ইবনে হিব্বান) - হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন জিলহজ-এর ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার নিয়ত করে; তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোনো অংশ না কাটে। (মুসলিম) অর্থাৎ ৩০ জিলকদ দিন শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ঈদের দিন কুরবানি সম্পন্ন করার আগ পর্যন্ত হাত ও পায়ের নখ, মাথাসহ অন্যান্য অঙ্গের চুল কাটা থেকে বিরত থাকা। যদি কারো নখ ও চুল কাটার প্রয়োজন হয় তবে জিলকদ মাসের শেষ দিন সন্ধ্যার আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নেয়া জরুরি। যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য উল্লেখিত আমলটিকে ফোকাহায়ে কেরাম মুস্তাহাব বলেছেন। জিলকদ মাসের শেষ দিনের মধ্যে নখ ও চুল না কাটলে তা লম্বা হয়ে যেতে পারে। যা সুন্নাতের পরিপন্থী। এ ছাড়াও কুরবানি দাতার জন্য জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোখায় রয়েছে অনেক সাওয়াব। বিশেষ করে আরাফার দিন রোজা পালনের সাওয়াব অনেক বেশি। সুতরাং যারা কুরবানি করবেন, তারা জিলকদ মাসেই নখ ও চুল কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবেন। জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন নখ-চুল কাটা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা পালন করবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের এ আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন। এম এন / ২২ জুলাই
https://ift.tt/2CVSIut
0 Comments