কলকাতা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর গয়না চুরি

https://ift.tt/eA8V8J
কলকাতা, ৩১ জুলাই - সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা শহরের প্রথম সারির কোভিড হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে বৃহস্পতিবার এমন এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বসিরহাটের বাসিন্দা এক মহিলা মেডিকেল কলেজের এসএসবি ব্লকের আট তলায় ভর্তি ছিলেন। ওই ওয়ার্ডটি মহিলা কোভিড রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট। ৭৭২ নম্বর বেডের রোগীর কাছে পিপিই কিট পরে এদিন দুপুরে এক যুবক হাজির হন। তিনি নিজেকে হাসপাতালের কর্মী বলে পরিচয় দেন। রোগীর অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাকে বলেন হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সোনার গয়নাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র কাছে রাখা যাবে না। এর পরেই তিনি বলেন, তাকে দিয়ে দিলে নিচে রোগীর আত্মীয়দের কাছে ওসব জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন। তিনি ওই ব্যক্তির কথা শুনে তাকে অবিশ্বাস করতে পারেননি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন রোগীর। তিনি সরল বিশ্বাসে হাসপাতাল কর্মী ভেবেই নিজের গলার সোনার হার ও আংটি খুলে দেন পিপিই পরা ওই ব্যক্তিকে। আরও পড়ুন: চলে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওয়ার্ড থেকে বেরনোর সময় ওই ব্যক্তি এক নার্সের মুখোমুখি হন। নার্সের সন্দেহ হয়। তিনি ওই ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি মহিলাদের কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকেছেন? জবাবে তিনি নার্সকে জানান, রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে গয়না নিতে উপরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি ওই নার্সের বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ওই ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা করেন। পেছনে তাড়াও করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এরপরই হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় রোগীর পরিবারের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন যে ওয়ার্ডের মধ্যে পৌঁছে গেছে প্রতারকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই খবর দেন মেডিকেল কলেজ চত্বরে থাকা পুলিশ আউট পোস্টে। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছেন, পিপিই পরা ব্যক্তি হাসপাতালেরই কর্মী। তদন্তকারীদেরও ধারণা, বাইরে থেকে কেউ পিপিই পরে হাসপাতালে ঢুকে কেপমারি করবে না। এর আগেও ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে পানি এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা প্রতারণা করার। কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বৌবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিন জনকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। এন এইচ, ৩১ জুলাই
https://ift.tt/2CV3Nwf

Post a Comment

0 Comments