https://ift.tt/eA8V8J
কুড়িগ্রাম, ২৬ জুলাই - কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও এখনও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিক ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তৃতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে বন্যার্তদের। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে জেলার তিন শতাধিক চর ও দ্বীপচরসহ নদ-নদী অববাহিকার তিন লাখেরও বেশি মানুষ চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে গত একমাস ধরে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলার ৯ উপজেলার ৪৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯৬টি এবং উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে ৯৮টি। এছাড়া পানি না ওঠা ৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন লাখেরও বেশি পানিবন্দি মানুষ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যার্তদের আশ্রয় নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাইমারি স্কুল ৬৫টি এবং হাইস্কুল, কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে ২৬টি। আরও পড়ুন: একমাস ধরে পানিবন্দি কুড়িগ্রামের ৪ লাখ মানুষ এদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে নদীভাঙনে ইতোমধ্যেই উলিপুর উপজেলার ৪টি ও রৌমারী উপজেলার ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এর বাইরে নদী ভাঙনের মুখে মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে সদর উপজেলার একটি ও উলিপুর উপজেলার আরেকটি স্কুল। এসব ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলার ৩৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। পানি না ওঠা ৬৫টি বিদ্যালয়ে বানভাসী মানুষ আশ্রয় নিয়েছেব। অন্যদিকে ক্রমাগত বন্যার কবলে পড়ে যে কোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উলিপুর উপজেলার সুখের বাতির চর প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামছুল আলম জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ১২৪টি বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজের মধ্যে ৯৮টিতে বন্যার পানি উঠেছে। অবশিষ্ট ২৬টিতে বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পানি বাড়ি থেকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই থাকবেন বন্যার্ত পরিবারগুলো। এন এইচ, ২৬ জুলাই
https://ift.tt/2Ebmf3J
0 Comments