শীতেই আসছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

https://ift.tt/eA8V8J
সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সময় ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের গবেষকরা জানিয়েছেন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে শীতেই। করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে ব্রিটেনে এখন বিশ্বের কোভিড তালিকায় ১০ নম্বরে। এপ্রিলের মাঝামাঝি ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বিশ্বের কোভিড তালিকায় প্রথম পাঁচে চলে এসেছিল ব্রিটেনের নাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত এমনটাই দাবি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও দেশের অ্যাকাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্স। সার্স ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক ভাইরোলজিস্ট ক্লজ স্টর। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস যখন মহামারির আকার নিতে শুরু করেছিল, তখন হাল ধরেছিলেন স্টর। সার্স ভাইরাস যে ধরন বদলে পুনরায় ফিরে আসতে পারে, সে আশঙ্কার কথাও প্রথম বলেছিলেন তিনিই। বলেছিলেন, সার্সের মতো সংক্রামক ভাইরাসের জিনের গঠন বদলে ফিরে আসা সম্ভব। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আবারও তেমনই এক আশঙ্কার কথা বললেন ক্লজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছেড়ে ২০০৭ সালে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নোভার্টিস এজিতে যোগ দেন ক্লজ। কয়েক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। তবে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা বন্ধ করেননি। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লজ বলেছেন, নতুন করোনা অর্থাৎ নভেল করোনাভাইরাসও সার্সের মতোই। এর আগে ২০০৩ সালে যে সার্স ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছিল, সে ভাইরাসই আবার জিনের গঠন বিন্যাস বদলে ফিরে এসেছে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ক্লজ বক্তব্য, সামনেই আসন্ন শীত। এ সময় করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ বা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা আসার আশঙ্কা রয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এ খবর জানিয়েছে। শীতের সময় করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই বলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরোলজিস্ট ক্লজ বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের চরিত্র আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাসের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। খুব অল্পদিনের মধ্যেই যেভাবে গোটা ফুসফুসকে সংক্রমিত করে ফেলছে করোনাভাইরাস, সেটা সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তা ছাড়া মানুষের শরীরে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য জিনের গঠন বদলে ফেলছে খুব দ্রুত। নতুন ভাইরাল স্ট্রেন হয়ে উঠছে আরো বেশি সংক্রামক। করোনাভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড অর্থাৎ বেঁচে থাকার সময়ও বাড়ছে। ক্লজ বলছেন, শীতের সময় এমনিতেই ঠাণ্ডা ও শুষ্ক হাওয়ায় ভাইরাস বা প্যাথোজেনদের ইনকিউবেশন পিরিয়ড বেড়ে যায়। আর সার্স-কভ-২ বা করোনাভাইরাস যেহেতু কম তাপমাত্রায় বেশিদিন টিকে থাকতে পারে, তাই শীতের সময় এ ভাইরাস আবার তার জিনের গঠন বদলে নতুনভাবে ফিরে আসতে পারে। ক্লজ স্টরের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশে যেভাবে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, তাতে সংক্রমণ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ গবেষকের দাবি, প্রথম ভ্যাকসিনেই করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না। কারণ, মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে অনেক বেশি সময় লাগবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলির মতো দেশে কত মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ক্লজ। তিনি বলছেন, সমাজের একটি গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে যদি পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি না হয়, তাহলে কোনোভাবেই হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে না, ভাইরাসের সংক্রমণও থামানো যাবে না। এম এন / ১৯ জুলাই
https://ift.tt/3eFtmxR

Post a Comment

0 Comments