মাস্ক ব্যবহারে চশমা ঘোলাটে হওয়া এড়াতে যা করবেন

https://ift.tt/eA8V8J
বিশ্বজুড়েই চলছে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যাবশ্যকীয়। কেননা, এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় এটি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এই পরামর্শই দিচ্ছেন। মাস্ক পরলে বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা হয় না, কিন্তু যারা চশমা পরেন তারা একটা সমস্যায় পড়েন আর সেটি হল চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যাওয়া। কেননা শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে নির্গত বাতাস চশমায় গিয়ে জমা হয়। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। আর তাই কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়। এতে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায় রয়েছে। আর তা ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমেই সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে চশমার ঘোলাটে হওয়া এড়াবেন- সাবান-পানি: ঘোলাটে হওয়ার পরিমাণ কমাতে মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন দ্য রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব ইংল্যান্ডের একজন সার্জন। তিনি বলেন, সাবান পানিতে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে। এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে, যা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেয় না। শেভিং ক্রিম: চশমা ঘোলাটে হওয়া প্রতিরোধে আরেকটি সহজ উপায় হলো শেভিং ক্রিম। চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগান। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন। পানি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত হয়ে অজান্তেই সেরে উঠছেন অনেকে! কী বলছেন চিকিৎসকরা? বেবি শ্যাম্পু: বেশিরভাগ শ্যাম্পুতে সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। ফলে মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টুথপেস্ট: ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমায় লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ধষুন। চশমার কাঁচ পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে। ক্লিনার: প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। চশমার দোকানগুলোতে এই ক্লিনার সহজেই পাওয়া যায়। এটি চশমাকে ১-৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হওয়া থেকে রক্ষা করবে। আপনি চাইলে বাসায় সহজেই অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার তৈরি করে নিতে পারেন। এজন্য ৩০ মিলি গ্লিসারল এবং ১০ মিলি তরল সাবান মিশ্রিত করুন, এরপর এরপর এতে ফোঁটা টারপেনটাইন যুক্ত করুন এবং ভালো করে নাড়ুন। এই ঘরোয়া ক্লিনার আপনি চশমার কাঁচে ব্যবহার করতে পারেন, যা ৩-৪ ঘণ্টা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেবে না। আর/০৮:১৪/২৬ জুলাই
https://ift.tt/30M4Bv7

Post a Comment

0 Comments