https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০৫ জুলাই- লালমনিরহাটে আবারও তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়েছে। এতে এ জেলায় আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেত্রকোনার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে হাওরের বাঁধ ভেঙে বানের পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলে। এ ছাড়া পাবনা ও মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীর তীরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- লালমনিরহাট: টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে লালমনিরহাটে আবারও তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়েছে। সকালে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার ও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে থাকে। গত মাসের ২৭ জুন তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে ভাটিতে থাকা লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ২০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পাবনা: পাবনায় যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, গতকাল শনিবার থেকে কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, শনিবার সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে পদ্মায় ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে। নেত্রকোনা: সোমেশ্বরী, উদ্ধাখালী, কংস, ধনুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার বারহাট্টা, আটপাড়া, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, পূর্বধলা, মোহনগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। মোহনগঞ্জের গাগলাজুর, হাটনাইয়া, তেঁতুলিয়া, বারহাট্টার লামাপাড়া, সাহতা, রায়পুর, ফকিরের বাজার, কলমাকান্দার রংছাতি, খারনৈ, বড়খাপন, দুর্গাপুরের গাঁওকান্দিয়া, কৃষ্ণেরচর, কাকৈরগড়া, পূর্বধলার জারিয়া, হুগলাসহ বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক গ্রামের সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে গত কদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা ঢলের প্রভাবে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই দুই উপজেলার নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল-বানারী ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার ভাঙন দেখা দেওয়ায় হাইয়ারপাড় গ্রামের জামে মসজিদটির ৮০ ভাগ এলাকা পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম এখন ভাঙনের কবলে পড়েছে। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ): মিঠামইন উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চমকপুর বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ভেতরে ঢুকছে। এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিকাংশ ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। ঘাগড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কেওয়ারজোড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পানিতে ভাসছে। বর্তমানে দুটি প্রতিষ্ঠানেই হুমকির মুখে। সূত্র : সমকাল এম এন / ০৫ জুলাই
https://ift.tt/3f27IF4
0 Comments