https://ift.tt/eA8V8J
সাতক্ষীরা, ২১ জুলাই- ছাগল চুরির অপরাধে গ্রাম্য সালিশে সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথীর নেতৃত্বে ১৫ বছর বয়সী এক এতিম কিশোরের পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর এই নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ ওই কিশোরের। শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে পৌরসভার রসুলপুর এলাকার পূর্বপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোর সজিব হোসেন শহরের রসুলপুর এলাকায় নানা মোসলেম সরদারের বাড়িতে থাকে। তার মা মহসিনা বেগম একজন হোটেল শ্রমিক। রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন, দৌলত আলী ও রাশিদুল ইসলাম জানান, কিশোর সজিব হোসেন মাস খানেক আগে রসুলপুর এলাকার মরিয়ম খাতুনের একটি ছাগল চুরি করে। সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ ডাকে মরিয়মের পরিবার। সালিশে নিজের অপরাধ স্বীকার করে সজিব। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর সাথীর নেতৃত্বে পৌর কাউন্সিলর সাগর সজিবকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। মাটিতে পড়ে গেলেও কাউন্সিলর সাগর জিআই পাইপ দিয়ে সজিবকে পেটায়। পরে চুরির অপরাধে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর বলেন, ছাগল চুরি করার অপরাধে তাকে আমি মারধর করেছি। তবে মারধর গুরুতর ছিল না। পা ভাঙার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি তাকে তিনবার লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছিলাম। দুইবার তার দেহে আঘাত লাগলেও অপরটা লাগেনি। সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী বলেন, আমার নেতৃত্বে কোনো মারধর করা হয়নি। তবে কাউন্সিলর সাগর সজিব হোসেনকে অল্প মারধর করেছিলেন। কিন্তু সেই মারধরে সজীব হোসেনের পা ভেঙে যাবে না। ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না। তবে গ্রাম্য সালিশে জনপ্রতিনিধিরা কাউকে মারধর করতে পারেন না। ঘটনা সত্য হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২১ জুলাই
https://ift.tt/30v9mcv
0 Comments