https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২০ জুলাই- মাস্ক পরে ডাকলে যাত্রীরা শোনে না, তাই পরি না। গরীব মানুষদের করোনা হবে না, আল্লায় রক্ষা করবে। মাস্ক পরে গাড়ি চালালে বমি আসে। পুলিশ ধরে, এজন্য মাস্ক সাথে রাখি। দূর থেকে দেখলেই মুখে পরে ফেলি। কথা গুলো বলছেন মৌমিতা পরিবহনের হেলপার ও ড্রাইভার। রাজধানীর গণপরিবহন গুলো মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন গণপরিবহনের যাত্রীরা। আবার এ থেকে ছড়াতে পারে সর্বত্র। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রাজধানী ঢাকাতে সবচেয়ে বেশি। অথচ এখানেই গণপরিবহন গুলোর হেলপার, কন্ট্রাক্টর, ড্রাইভারকে দেখা যাচ্ছে মাস্ক ছাড়া। আবার অনেকে পরলেও তা আটকে আছে থুতনিতে। দিনের পর দিন প্রচার-প্রচারণা এমনকি কঠোর আইন করেও নিশ্চিত করা যায়নি সর্বস্তরে মাস্কের ব্যবহার। মুখের মাস্ক, হাত মোজা এবং অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাহায্য করতে পারে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় শ্যামলী, গাবতলী, মহাখালী, বনানী, মিরপুর ১০ গোল চত্বর, মিরপুর ১১, কালশী রোড, বিশ্ব রোড মোড়, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও-তালতলা, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার এসব বাসস্ট্যান্ডে গণপরিবহনগুলো হেলপার, কন্ট্রাক্টর, ড্রাইভারের মাস্ক ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় মুখ, নাক বা চোখের দ্বারা। তাই মহামারী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে মাস্ক পরা ও হাত পরিষ্কার রাখার বিকল্প নেই। মুখে মাস্ক পরলে করোনায় সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা পাঁচ গুণ কমে যায়। তবে তার জন্য সঠিক নিয়মে মাস্ক পরিধান করতে হবে। ঠিকানা পরিবহন গাড়ির হেলপার নাজিম বলেন, মাস্ক পড়লে আমার দম বন্ধ বন্ধ লাগে। তাই আমি মাস্ক পরি না। আল্লাহ যদি করোনাভাইরাসে মৃত্যু লিখে রাখে তাহলে এইসব মাস্ক আমার মৃত্যু ঠেকাতে পারবে না। ডব্লিএইচওর তথ্য অনুসারে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুটি প্রধান পথ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস এবং শারীরিক সংযোগ। তাদের মতে, আক্রান্তের ড্রপলেট ছড়ানোয় বাধা তৈরি করতে পারে মাস্ক। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ভ্যান কেরখোভে জানায়, করোনা রুখতে কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে। কারণ এটি ভাইরাস রুখতে বেশি কার্যকরী। এম এন / ২০ জুলাই
https://ift.tt/3jjtSp1
0 Comments