https://ift.tt/eA8V8J
কুষ্টিয়া, ০৪ জুলাই- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর অনৈতিক কথোপকথোনের দুইটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাকে টিএসসিসির পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটিও। এবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে কণ্ঠ নকল করে সামাজিকভাবে হেয় ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। শুক্রবার ( ৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর থানায় তিনি এ ডায়েরি করেন। জিডি নম্বর ১৪৬। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত তিন-চারদিন ধরে অজ্ঞাতনামা কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুপরিকল্পিতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। অডিও সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে হুবহু আমার কণ্ঠস্বর নকল করে একটি আপত্তিকর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফেক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান ধূলিসাৎ করেছে। তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারা শুধু আমার সম্মান নষ্ট করেনি, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাব মর্যাদা, সর্বোপরি শিক্ষক সমাজের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব ফেক আইডি ব্যবহৃত হচ্ছে তা উদ্ধারপূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি। জিডির বিষয়ে ড. মিজানুর রহমান বলেন, এটা আমার কণ্ঠ নয়। এই অডিওর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার পেশাগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল আমার কণ্ঠ এডিট করে এই ঘৃণ্য কাজ করেছে। এ বিষয়ে আমি ঝিনাইদহ থানায় একটি জিডি করেছি। এদিকে গত মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের সঙ্গে এক নারীর অনৈতিক প্রেমালাপের দুটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। পরে অডিও দুটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে টিএসসিসির পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠিত হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমরা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং কারণ দর্শাতে বলেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি জবাব দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং ওই ছাত্রীকেও (অজ্ঞাত) তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান করবে। সূত্র : জাগো নিউজ এম এন / ০৪ জুলাই
https://ift.tt/2C95l4H
0 Comments