ঢাকা-১৮ : আ.লীগের টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ২৬ জুলাই- আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের প্রয়াণে শূন্য হয়েছে ঢাকা-১৮ আসন। নির্বাচনের দিন-তারিখ নির্ধারণ না হলেও থেমে নেই নির্বাচনী প্রচার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনুসারীরা নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রার্থিতা জানান দিতে নানা ইস্যুতে পোস্টার প্রদর্শন করে যাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং ব্যবসায়ী নেতারা রয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায়। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে তারা বক্তব্য দিচ্ছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও। দিন যতই যাচ্ছে এ আলোচনা আরও বাড়ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য, সাহারা খাতুন একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন। ফলে তার মতো একজন দক্ষ, সৎ ও ত্যাগী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে এ আসনের মানুষ উপকৃত হবে। আলোচনার দৌড়ে একধাপ এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। যদিও এই দুই নেতা সরাসরি এখনো তাদের প্রত্যাশার কথা বলেননি। তাদের ভক্ত-অনুসারীদের ভাষ্য, তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে নানা সংকটে রাজনৈতিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আওয়ামী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন তারা। জাহাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিমকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সে কারণে ঢাকা-১৮ আসনে তাদের দুজনের যে কোনো একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এমন আশা তাদের অনুসারীদের। জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি। তিনি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি সব সময়ই আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা-ই আমার জন্য আশীর্বাদ। সুতরাং এখানে মনোনয়ন চাওয়া না চাওয়ার কিছু নেই। তিনি জানেন কখন কোন অবস্থানে কাকে রাখতে হবে। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারও ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আমি নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে উত্তরা এলাকায় আছি। রাজনীতি এবং অবস্থানগত কারণে এ এলাকার অলিগলি আমার জানা। সুতরাং মনোনয়ন পেলে এলাকার উন্নয়নে আমি কাজ করতে পারব। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদব হাবীব হাসান, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনসহ স্থানীয় বেশ কয়েক নেতা ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলের দুর্দিনের রাজনীতিতে তারা পরীক্ষিত এমন দাবি এ নেতাদের। তারা মনে করেন, উত্তরার রাজনীতির আদ্যোপান্ত তাদের জানা। যে কারণে ঢাকা-১৮ আসন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তারা যোগ্য। জানতে চাইলে হাবীব হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার জন্ম আওয়ামী লীগ পরিবারে। উত্তরা এলাকায় একেবারের ওয়ার্ড থেকে রাজনীতি করে আমি মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আছি। এ এলাকার মানুষের সুদিন-দুর্দিনের আমি ছিলাম, আছি এবং থাকব। মানুষের সেবা করার অভিপ্রায়েই আমি এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। তবে অতীতের মতোই আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি আমার আস্থা আছে। তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য করব না। আলোচনায় আছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী নেতাও। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমই) সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমীরুল ইসলাম চৌধুরী খসরুও মনোনয়ন চাচ্ছেন এ আসনে। এই দুই প্রার্থীর দাবি, তারা সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত নন। তবে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সমর্থন ছোটবেলা থেকেই। মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান এ প্রতিবেদককে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ দল। ফলে, একটি আসনে একাধিক যোগ্য লোক থাকা স্বাভাবিক। অনেকেই মনোনয়নের জন্য যোগাযোগ করছেন। আমরা সবাইকে এলাকার জনগণের মধ্যে কাজ করতে বলেছি। দলের জন্য যে নিবেদিত, জনগণের মধ্যে যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চান ১৪ দলের নেতারা আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, যেহেতু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, তাই এখনই বলা কঠিন এসব আসনে কারা মনোনয়ন পাবেন। তবে অনেকেই নির্বাচন করতে চান। দলীয় মনোনয়নের জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। তাদের ভেতর থেকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন, সে-ই মনোনয়ন পাবেন। ঢাকা-১৮ আসনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাহারা খাতুন প্রায় ১২ বছর এমপি ছিলেন। গত ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি। সূত্র: আমাদের সময় আর/০৮:১৪/২৬ জুলাই
https://ift.tt/304MOAp

Post a Comment

0 Comments