https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ০১ জুলাই- বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চ দুর্ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুলএ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার সকালে নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল আলম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত হত্যাসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার এসআই শহিদুল আলম। এমএল মর্নিং বার্ড নামে ওই যাত্রীবাহী লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় সেটি মুহূর্তেই ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা ৩৪ মরদেহ উদ্ধার করেন। নৌ-আদালতে ১৮টি মামলা: দেশের একমাত্র নৌ-আদালতে লঞ্চ দুর্ঘটনার ১৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। নৌ-আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পারভীন সুলতানা জানিয়েছেন, মামলার আসামিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা খুব কষ্টকর। এ ছাড়া সময়মতো সাক্ষীদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। মূলত এ দুই কারণেই মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুর্বলতা থাকায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র পাঁচ বছর। আসামিরা কিছুদিন জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে। সূত্র : সমকাল এম এন / ০১ জুলাই
https://ift.tt/2AgZZDY
0 Comments