https://ift.tt/eA8V8J
ইসলামাবাদ, ০৫ মে - এ ধরনের অসভ্যতা পাকিস্তান ক্রিকেটেই সম্ভব। এমনিতেই দেশটির ক্রিকেটাররা সবচেয়ে বেশি জড়িত ক্রিকেট দুর্নীতিতে। শুধু তাই নয়, দলের মধ্য কোন্দল আর ষড়যন্ত্রের অতীতকাল থেকেই জর্জরিত দেশটির ক্রিকেট। এবার আবারও প্রকাশ্যে এলো আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ব। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইউনিস খান। ২০০৯ সালে ইউনিস খান যখন অধিনায়ক ছিলেন, তখন ইচ্ছে করেই নাকি বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার খারাপ খেলতেন। উদ্দেশ্য ছিল অধিনায়ক ইউনিসকে বিপদে ফেলা। ২০০৯ সালে ইউনিস খানের নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপরই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন তিনি। পরে পিসিবি চেয়ারম্যান তাকে ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই সরে দাঁড়াতে হয়েছে তাকে। কারণ, পাকিস্তান দলটিকে ঘিরে তখন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠে যায়। প্রায় ১১ বছর আগের সেই ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক পেসার রানা নাভেদ-উল-হাসান। তার দাবি, ২০০৯ সালে দলের অধিনায়ক ইউনিস খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তখনকার পাকিস্তান দলের অনেক ক্রিকেটারই। এদের মধ্যে দলের কয়েকজন নাম করা ক্রিকেটারও ছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলে পুরনোদিনের গল্প বলতে গিয়েই রানা নাভেদ সেই ষড়যন্ত্রের কথা সামনে নিয়ে আসেন। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই সেই ঘটনা ঘটেছিল। রানা নাভেদ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০০৯ সালে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হেরে গিয়েছিলাম। কারণ ওই সিরিজে দলের কিছু খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে ভালো খেলেনি। আমি সেই সফরে বসেছিলাম, খেলিনি। আমি অধিনায়ক ইউনিস খানকে বলেছিলাম যে, এটিই ওর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমিও সেই চক্রান্তের শিকার। ঘটনার ব্যাখ্যা করে রানা নাভেদ বলেন, দলে তখন কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় ছিলেন। যাদের নিজেদের অধিনায়ক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। এই ষড়যন্ত্রে প্রায় সাত থেকে আটজন ক্রিকেটার জড়িত ছিলেন বলেও জানান সাবেক এই পাক পেসার। রানা জানান, এটি ইউনিস খানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছিল না। তিনি একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন; কিন্তু অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে সে আলাদা ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। যদিও রানা নাভেদ তখনকার ষড়যন্ত্রে জড়িত ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। জড়িত খেলোয়াড়দের নাম না-বললেও নাভেদ জানান যে, ওই খেলোয়াড়রা একবার পিসিবি চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন, উনি যেন ইউনিস খানের সঙ্গে কথা বলেন। রানা নাভেদ বলেন, তারা বলেছিল যে আমরা ইউনিসকে অপসারণ করতে চাই না। তবে আমরা চাই পিসিবি চেয়ারম্যান ইউনিস খানের সঙ্গে কথা বলে জানাক অধিনায়ক হিসেবে ইউনিস কেন সিনিয়রদের পরামর্শ নেন না। তিনি যা করতে পছন্দ করেন বলে মনে করতেন, সেটাই করতেন। পাকিস্তানের হয়ে ৯টি টেস্ট খেলেছেন রানা নাভেদ। ৫৮ গড়ে নিয়েছেন ১৮টি উইকেট নিয়েছেন। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যথেষ্ট সফল ছিলেন ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার। ৭৪টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৯.২৮ গড়ে ১১০টি উইকেট রয়েছে রানার ঝুলিতে। ইকোনমিক রেট ৫.৫৭। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি পাকিস্তানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ মে
https://ift.tt/3b3t2Y0
0 Comments