করোনার দুই মাস, জেনে নিন কী ঘটেছে দেশে

https://ift.tt/eA8V8J
ঢাকা, ৯ মে- বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আজ ৬০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। ঠিক দুই মাসে আগে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর গত ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই দিন থেকে আজ পর্যন্ত করোনায় বাংলাদেশে সংক্রমিত ১৩ হাজার ১৩৪ ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২০৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। আর দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৭০৯ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জন সুস্থ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১০১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। ব্রিফিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৪১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৫৪ জনের নমুনা। আর দেশে এখন ৩৫টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের মোট ৬৩ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা বিভাগের পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭৬ জন আক্রান্ত চট্টগ্রাম বিভাগে। শুক্রবার আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৬২ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ২০৩ জন, গাজীপুরে ৩৩০ জন, কিশোরগঞ্জে ২০২ জন, মাদারীপুরে ৫৪ জন, মানিকগঞ্জে ২৮ জন, নারায়ণগঞ্জে ১১৩৬ জন, মুন্সিগঞ্জে ২১০ জন, নরসিংদীতে ১৭১ জন, রাজবাড়ীতে ২৩ জন, ফরিদপুরে ২১ জন, টাঙ্গাইলে ৩১ জন, শরীয়তপুরে ৫৭ জন এবং গোপালগঞ্জে ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রামে বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫৯ জন, কক্সবাজারে ৭২ জন, কুমিল্লায় ১৫০ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৭ জন, ফেনীতে ৮ জন, চাঁদপুর ৪৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৫০ জন, ৮. নোয়াখালীতে ২৭ জন, খাগড়াছড়িতে ২ জন, রাঙ্গামাটিতে ৪ জন এবং বান্দরবানে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৩ জন। এদের মধ্যে সিলেটে ২৮ জন, মৌলভীবাজারে ৩০ জন, সুনামগঞ্জে ৩৫ জন এবং হবিগঞ্জে ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৩ জন। এর মধ্যে রংপুরে ৮৯ জন, দিনাজপুরে ৩৬ জন, নীলফামারীতে ৩৫ জন, গাইবান্ধায় ২৪ জন, লালমনিরহাটে ১৩ জন, ঠাঁকুরগাওয়ে ২৩ জন, কুড়িগ্রামে ৩৩ জন এবং পঞ্চগড়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১১ জন। এদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ২০ জন, খুলনায় ২০ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৩ জন, ঝিনাইদহে ৩৪ জন, নড়াইলে ১৩ জন, বাগেরহাটে ২ জন, মাগুরায় ১১ জন, মেহেরপুরে ৫ জন, যশোরে ৭৯ জন, এবং সাতক্ষীরায় ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ২০৪ জন, জামালপুরে ১০২ জন, নেত্রকোণায় ৬৪ জন এবং শেরপুরে ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন। এদের মধ্যে বরিশালে ৪৮ জন, পটুয়াখালীতে ২৮ জন, ভোলায় ৭ জন, পিরোজপুরে শুন্য, বরগুনায় ৩৪ জন এবং ঝালকাঠীতে ১৩ জন। রাজশাহী বিভাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২৬ জন, নাটোরে ১২ জন, নওগাঁয় ২৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ জন, বগুড়ায় ১৮ জন, জয়পুরহাটে ৩৯ জন, পাবনায় ১৬ জন এবং সিরাজগঞ্জে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী উল্লেখযোগ্য হলো-করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এবারের ছুটি নিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে মোট ছয় দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। তবে এবার বলা হয়েছে, সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। এ বিষয়ে তাদের অধিক্ষেত্রের কাজ পরিচালনায় নির্দেশনা জারি করবে। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ( কর্ম এলাকা) ত্যাগ করতে পারবেন না। তবে করোনার ঝুঁকি নিয়ে গার্মেন্টস খুলে দেয়া হয়েছে। আর আগামী ১০ মে থেকে ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সীমিত আকারে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল আর/০৮:১৪/০৯ মে
https://ift.tt/2zk39Gg

Post a Comment

0 Comments