https://ift.tt/eA8V8J
রোম, ০৪ মে - ইতালিতে মৃত্যু কমেছে, কমেছে করোনার সংক্রমণ। তাইতো অনেক নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়েছে। তবে ৮ সপ্তাহের বিধিনিষেধের অবসান ঘটলেও সেগুলোর বেশ কিছু বলবৎ থাকবে; এমন ধারণার কারণে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা নেই। বিধিনিষেধ প্রত্যাহার নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন তারা। বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, ইতালিতে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় গত ২১ ফেব্রুয়ারি। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে প্রায় ২৯ হাজার প্রাণহানি হয়েছে। বিশ্বে করোনায় মৃত্যুতে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ইতালির উপরে ৬৬ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতালিতে দৈনিক প্রাণহানি ও নতুন সংক্রমণ সরকারের প্রত্যাশার চেয়ে ধীরে ধীরে কমেছে। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কোঁতের নেতৃত্বাধীন সরকারকেও ধীরে ধীরে লকডাউন প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার সামঞ্জস্য রেখেই আগামীতে যা করা হবে। শনিবার এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী কোঁতে বলেন, আমরা এখনো মহামারির সম্পূর্ণ তীব্রতার মধ্যে রয়েছি। তথাকথিত দ্বিতীয় দফার লকডাউন পরিকল্পনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটাকে এমনভাবে ভাবা যাবে না যে আমরা এর থেকে মুক্ত এবং জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। দেশটির মানুষ এখন আরও স্বাধীনভাবে ঘর ছেড়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন। আরও বেশ কিছু কর্মস্থল হয়তো চালু হবে। তবে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নিয়মাবলী। কিন্তু বেশিরভাগ দোকান ও ব্যবসাকেন্দ্র আগামী ১৮ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ এবং বার খুলে দেওয়া হয়েছে শুধু পার্সেল নেওয়ার জন। বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্কুল, সিনেমা হল, নাট্যশালা, জাদুঘর ও হেয়ারড্রেসার বন্ধই থাকছে। ধীরে ধীরে তা খুলে দেওয়া হতে পারে। সোমবার থেকে পার্কগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। তবে একে অপরের থেকে দুই মিটারের দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ির বাইরে হাঁটাচলাসহ এসব কাজ করতে হবে ইতালিয়ানদের। বদ্ধ স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর কি কি খোলা থাকছে কি বন্ধ থাকছে এ বিষয়গুলো খোলাসা না হওয়ার কারণে। এছাড়া মানুষ কার কার বাড়িতে যেতে পারবেন এ সংক্রান্ত স্পষ্ট কোনো নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। সরকারি নির্দেশনা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে মানুষ মজা করে নানা রকম পোস্ট দিচ্ছেন। যাদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া যাবে বলা হলেও এ তালিকায় বন্ধুরা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি। সোমবার থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা হলেও এর স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারের সমালোচনাও চলছে ইতালিজুড়ে। তবে সোমবার থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর শুরু হওয়ার পর বোঝা যাবে পরিস্থিতি কি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ মে
https://ift.tt/3c0LnX5
0 Comments