https://ift.tt/eA8V8J
পটুয়াখালী, ০৬ মে - ২৪ ঘণ্টায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৩০ জনে। মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এতে করে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ জন। তিনি আরও বলেন, ৪ মে আক্রান্ত পুলিশের এক এএসআই এর পরিবার ও তার সহকর্মীদের মিলিয়ে মোট ৩৭ জনকে কন্টাক্টটিসি করেছি। তিনি হোম আইসোলেশন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ভালো আছেন। পটুয়াখালী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অবেদন জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৩০ জনে। এদের মধ্যে ৪ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এছাড়া দুমকিতে পোশাককর্মী ও পটুয়াখালী সদর উপজেলার এক বৃদ্ধ সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও বাউফলের একজন পুরুষ শেবাচিমের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বর্তমানে এদের মধ্যে আইসোলেশনে রয়েছে ২৩ জন। এদিকে, আক্রান্ত পুলিশের এ এসআই যেন নিজেকে একা মনে না করেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন সেজন্য তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম। ইতোমধ্যে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের জন্য দুই ঝুঁড়ি ফল পাঠিয়েছেন পুলিশ সুপার। অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য জেলা পরিবার পরিকল্পনা ভবনে ৫০ শয্যা আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ইউনিট ও ভাসমান কোয়ারেন্টাইন ইউনিট খোলা হয়েছে। ৬৪ জন চিকিৎসক ও ৭৭ জন সেবিকা কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। রোগীদের জন্য হাসপাতালে জরুরি ওষুধ, পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্কের কোনো ঘাটতি নেই। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৬ মে
https://ift.tt/3ca3g5I
0 Comments