https://ift.tt/eA8V8J
নীলফামারী, ৩০ এপ্রিল - নীলফামারীতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া ২৮ ইটভাটা শ্রমিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ১০টি গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৯টায় জেলা সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ২৮ জনকে খুঁজতে পুলিশ ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মাঠে নেমেছে। বিকেল ৫টায় তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুনরায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তাদের বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের সদস্যকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর থানা পুলিশ সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের চৌমুহনী বাজারের অস্থায়ী পুলিশ চেকপোস্টে ৪৪ জন ভাটা শ্রমিককে আটক করে। তারা ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে বিশেষ কায়দায় গাজীপুর থেকে পালিয়ে আসছিল। পরে পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিকেল ৪টার দিকে আটক ভাটা শ্রমিকদের তাদের নিজ গ্রাম নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় ও চকদুবলিয়া গ্রামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, কোয়ারেন্টাইন না মেনে ওইসব শ্রমিককে বুধবার সকালে তাদের নিজ নিজ বাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাৎণিক বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বুধবার বিকেল ৫টায় পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুনরায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের দেখভালের জন্য সংশিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য ও গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত ছিল। কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করার সময় ওই এলাকা থেকে জনৈক ব্যক্তি ফোন করে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানান। নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওই সকল শ্রমিকদের আটক করে তাদের বুঝিয়ে কোয়ারেন্টাইনে ফিরে আনা হয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩০ এপ্রিল
https://ift.tt/3aKhcln
0 Comments