https://ift.tt/eA8V8J
মুম্বাই, ৩০ এপ্রিল - করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লকডাউন চলছে ভারত জুড়ে। থম থমে নিরব পরিবেশে শেষ ঘুম ঘুমালেন বলিউডের নন্দিত অভিনেতা ইরফান খান। মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুবাই আম্বানি হাসপাতালে বুধবার সকালে মারা গেছেন এই অভিনেতা। লকডাউনের এমন পরিবেশ না থাকলে ইরফান খানকে শেষবারের মতো দেখতে আসতো লাখ লাখ ভক্ত। কিন্তু সেই সুযোগ হলো না। বুধবার দুপুর ৩টায় নিরবেই ইরফান খানের দাফন হয়েছে ভার্সোভার কবরস্থানে। সেই শুধুমাত্র উপস্থিত ছিলেন তার পরিবার, নিকট আত্মীয় এবং কয়েকজন বন্ধু। বলিউডের সুপারস্টার ইরফান খানের মৃত্যুতে এখন পুরো ভারত জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বরিয়া, অজয় থেকে শুরু করে সবে তারাকারা শোক জানিয়েছেন ইরফান খানের মৃত্যুতে। ইরফান খানের জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৬৭ সালে। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তিনি তার অতুলনীয় ও অকল্পনীয় সহজাত অভিনয় ক্ষমতার জন্য পরিচিত। বলিউড, ব্রিটিশ ভারতীয়, হলিউড এবং একটি তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ৩৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৫০টির অধিক দেশীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন ইরফান। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে। ২০১৮ সালের শুরুতে নিজের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন ইরফান খান। দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরেন তিনি। মুম্বাই বিমানবন্দরে তাকে হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায় দেখা যায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে আংরেজি মিডিয়াম নামে একটি সিনেমার শুটিং করেন। সম্প্রতি মুক্তিও পায় সিনেমাটি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে দেখা যাচ্ছে এটি। ইরফান অভিনীত মুক্তি পাওয়া শেষ সিনেমা এটি। অভিনেতা ইরফান খান দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার মায়ের মৃত্যু হয়। সেই শোক সামলে ওঠার আগেই গত ২৮ এপ্রিল রাতে কোলন ইনফেকশন সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুবাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ইরফান। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হিন্দি সিনেমার জাদরেল এই অভিনেতা। আর ফিরবেন না তিনি। এন এইচ, ৩০ এপ্রিল
https://ift.tt/2xlaB3f
0 Comments