https://ift.tt/eA8V8J
ভোপাল, ২৭ এপ্রিল - লকডাউনের মধ্যে বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি হাকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রাস্তায়। বাবা নামকরা ব্যবসায়ী। কিন্তু এসব কিছু তাকে বাঁচাতে পারেনি। ফাঁকা রাস্তায় তার হাওয়া অভিযান পন্ড হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটকা পড়ার পর। কেননা গাড়ি থামিয়ে তাকে রাস্তায় কান ধরে উঠবোস করতে বাধ্য করা হয়েছে। ভারতীয় টেলিভিশন বলছে, বিড়ম্বনায় পড়া ওই যুবক মধ্যপ্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর ইন্দোরের ফাঁকা রাস্তায় অভিজাত গাড়িতে চেপে হাওয়া খেতে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। তাই অপ্রয়োজনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যুবককে আটক করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। শুধু লকডাউন অমান্য নয় করোনার এই মহামারি কালে ওই যুবক স্বাস্থ্যবিধিও মানেননি। তার কাছে ছিল না কোনো মাস্ক। তাই বেশি চটেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাইতো তারা ব্যবসায়ী পুত্রের হাওয়া অভিযান বুমেরাং করে দেন। যুবকের কান ধরে উঠবোস করানোর সেই ছবি ও ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অনুরাগ দোয়ারি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুই আসনের হলুদ পোরশে গাড়ি আটকাচ্ছেন কালো পোশাক পরিহিতি নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজন সদস্য। তারপর তারা যুবকের কাছে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। এরপরই ঘটনার সূত্রপাত। কাগজ নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় সেই যুবককে। সেই কথার ফাকেই নিরাপত্তা পরিষদের এক কর্মী যুবকের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন। তারপর লাঠি উঁচিয়ে তাকে কান ধরে উঠবোস করার নির্দেশ দেন। নিরাপত্তাকর্মীদের আদেশ মেনে লাঠির ডগার মুখেই কান ধরে উঠবোস করেন যুবক। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। ব্যতিক্রম নয় মধ্যপ্রদেশও। করোনার বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন কার্যকরের জন্য একটি নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করেছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব পালন করছেন। তকে যুবকের পরিবারের দাবি, তাদের সন্তানের কাছে কারফিউ পাস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল। তবুও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা তাকে হয়রানি করেছে। শাস্তি পাওয়া ওই যুবকের বাবা ব্যবসায়ী দীপক দারানি, ছেলেকে এমনভাবে হেনস্তা করার দায়ে ট্রাফিক আইনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ এপ্রিল
https://ift.tt/2y4UVBs
0 Comments